১১:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দৈনিক শনাক্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৬ হাজার ৩৩ জন। দৈনিক শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত বছরের ২৮ জুলাই একদিনে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ২৩০ জন। যা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সেদিক থেকে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা দৈনিক হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২৪ ঘণ্টার মৃত্যু ও শনাক্ত নিয়ে বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ২৫৬ জন এবং শনাক্ত বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৭ জনে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল সোমবার ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৫ জনের মৃত্যু ও ১৪ হাজার ৮২৮ জন শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এদিকে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫৫টি আরটি-পিসিআর, ৫৭টি জিন-এক্সপার্ট এবং ৬৪৮টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাবসহ মোট ৮৬০টি ল্যাবে ৪৯ হাজার ৬৯৭টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৯ হাজার ৪৯২টি। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ ১২ হাজার ১৭৯টি।

মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং মোট সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। একদিনে মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এখন পর্যন্ত মোট মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৬২ জন ও নারী ১০ হাজার ১৯৪ জন। ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ জন ও চট্টগ্রামে বিভাগে মারা গেছেন ৬ জন। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন ষাটোর্ধ্ব বয়সী, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ২০ বছরের নিচে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ধরন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বছরের শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল থাকলেও এ বছরের শুরু থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে শুরু করে।

ট্যাগ :

দৈনিক শনাক্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

প্রকাশিত : ১২:০০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৬ হাজার ৩৩ জন। দৈনিক শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত বছরের ২৮ জুলাই একদিনে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ২৩০ জন। যা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সেদিক থেকে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা দৈনিক হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২৪ ঘণ্টার মৃত্যু ও শনাক্ত নিয়ে বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ২৫৬ জন এবং শনাক্ত বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৭ জনে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল সোমবার ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৫ জনের মৃত্যু ও ১৪ হাজার ৮২৮ জন শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এদিকে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫৫টি আরটি-পিসিআর, ৫৭টি জিন-এক্সপার্ট এবং ৬৪৮টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাবসহ মোট ৮৬০টি ল্যাবে ৪৯ হাজার ৬৯৭টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৯ হাজার ৪৯২টি। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ ১২ হাজার ১৭৯টি।

মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং মোট সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। একদিনে মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এখন পর্যন্ত মোট মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৬২ জন ও নারী ১০ হাজার ১৯৪ জন। ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ জন ও চট্টগ্রামে বিভাগে মারা গেছেন ৬ জন। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন ষাটোর্ধ্ব বয়সী, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ২০ বছরের নিচে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ধরন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বছরের শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল থাকলেও এ বছরের শুরু থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে শুরু করে।