০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৭০ইটভাটা অবৈধ

সাতক্ষীরায় শতাধিক ইটভাটার মধ্যে ৭০ টি অবৈধ। দীর্ঘ দিন যাবত এ সব অবৈধ ইটভাটা আইনি ফাঁকফোকর দিয়ে চলছে। বিশেষ করে বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে রিট দাখিল করে একটি সিন্টিগেট অবৈধ ভাটা মালিকদের পার করে দিচ্ছে।

ইট ভাটা নির্মাণ ও ইট প্রস্তুত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ সব ইটভাটা চলছে নিয়মের গতিতে।ভাটা নির্মাণ আইনে শিক্ষা প্রতিষ্টান,আবাসিক এলাকা,ফলজ ও বনজ বাগানের অন্তত ১ কিলোমিটার দুরে নির্মাণ করার কথা থাকলেও সে আইন কেউ মানছে না।অবৈধ ইটভাটা ফলজ বনজ কাঠ সহ সয়াবিনেরর গাঁদ,টায়ারের গুড়া পুড়িয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করলেও সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরে উপ পরিচালক শরিফুল ইসলাম লোকবল কম থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনে অনেকটায় নিরুপায়। সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধানে দেখে গেছে,জেলার ৭ উপজেলায় ১০০ এর অধিক ইটভাটা রয়েছে।
এরমধ্যে বৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৩০ টি।বাকি গুলো অবৈধ ভাবে চল্লেও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ অনেকটায় নিরব।
জেলার সদর উপজেলায় ইটভাটা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুত সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের ৪ টি ইট ভাটা এম আর এস নামে অবৈধভাবে চলছে।যেখানে টায়ারের গুড়া জ্বালানি কাঠ,সয়াবিনেরর গাঁদ পুড়ালেও দেখার যেন কেউ নেই।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে,বেশিরভাগ ভাটা মালিকরা লোক দেখানো জিকজ্যাগ ভাটা স্থাপন করে তাঁরপাশে আগের নির্মিত অবৈধ ভাটাটিও পরিচালনা করছে।
জনবসতি এলাকা সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ সব অবৈধ ইটভাটার মাটির যোগানে ফসলি জমির উপরিঅংশ কেটে নিয়ে দানবযন্ত্র দিয়ে পরিবহণ করছে।পরিবহণেরর সময় সড়ক,মহাসড়কে সৃষ্ট ধুলাবালিতে পরিবেশের যে বিপর্যয় ঘটাচ্ছে তা প্রতিহতের জন্য কেউ কথা বলতে সাহস পায় না বলে নাম প্রকাশে অনউচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান,ভাটা মালিকদের টাকার কাছে প্রশাসন জিম্মি।কথা বল্লে হয়রানীর শিকার হতে হয়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরেরর উপ-পরিচালক শরিফুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন,সাতক্ষীরায় দীর্ঘদিন যাবত হাইকোর্টে রিট দাখিল করে অবৈধ ভাটা পরিচালনা করছেন।তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে রিট খারিজের জন্য ৫০ টি ভাটার তালিকা প্রস্তুত করে বিভাগীয় অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে।রিট খারিজ হয়েছে এমন ৬ টি ইট ভাটা গুড়িয়ে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এ ছাঁড়া আরও কয়েকটি অভিযানের আওতায় রয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

৭০ইটভাটা অবৈধ

প্রকাশিত : ১২:০১:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সাতক্ষীরায় শতাধিক ইটভাটার মধ্যে ৭০ টি অবৈধ। দীর্ঘ দিন যাবত এ সব অবৈধ ইটভাটা আইনি ফাঁকফোকর দিয়ে চলছে। বিশেষ করে বছরের পর বছর উচ্চ আদালতে রিট দাখিল করে একটি সিন্টিগেট অবৈধ ভাটা মালিকদের পার করে দিচ্ছে।

ইট ভাটা নির্মাণ ও ইট প্রস্তুত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ সব ইটভাটা চলছে নিয়মের গতিতে।ভাটা নির্মাণ আইনে শিক্ষা প্রতিষ্টান,আবাসিক এলাকা,ফলজ ও বনজ বাগানের অন্তত ১ কিলোমিটার দুরে নির্মাণ করার কথা থাকলেও সে আইন কেউ মানছে না।অবৈধ ইটভাটা ফলজ বনজ কাঠ সহ সয়াবিনেরর গাঁদ,টায়ারের গুড়া পুড়িয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করলেও সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরে উপ পরিচালক শরিফুল ইসলাম লোকবল কম থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনে অনেকটায় নিরুপায়। সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধানে দেখে গেছে,জেলার ৭ উপজেলায় ১০০ এর অধিক ইটভাটা রয়েছে।
এরমধ্যে বৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৩০ টি।বাকি গুলো অবৈধ ভাবে চল্লেও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ অনেকটায় নিরব।
জেলার সদর উপজেলায় ইটভাটা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুত সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের ৪ টি ইট ভাটা এম আর এস নামে অবৈধভাবে চলছে।যেখানে টায়ারের গুড়া জ্বালানি কাঠ,সয়াবিনেরর গাঁদ পুড়ালেও দেখার যেন কেউ নেই।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে,বেশিরভাগ ভাটা মালিকরা লোক দেখানো জিকজ্যাগ ভাটা স্থাপন করে তাঁরপাশে আগের নির্মিত অবৈধ ভাটাটিও পরিচালনা করছে।
জনবসতি এলাকা সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ সব অবৈধ ইটভাটার মাটির যোগানে ফসলি জমির উপরিঅংশ কেটে নিয়ে দানবযন্ত্র দিয়ে পরিবহণ করছে।পরিবহণেরর সময় সড়ক,মহাসড়কে সৃষ্ট ধুলাবালিতে পরিবেশের যে বিপর্যয় ঘটাচ্ছে তা প্রতিহতের জন্য কেউ কথা বলতে সাহস পায় না বলে নাম প্রকাশে অনউচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান,ভাটা মালিকদের টাকার কাছে প্রশাসন জিম্মি।কথা বল্লে হয়রানীর শিকার হতে হয়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরেরর উপ-পরিচালক শরিফুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন,সাতক্ষীরায় দীর্ঘদিন যাবত হাইকোর্টে রিট দাখিল করে অবৈধ ভাটা পরিচালনা করছেন।তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে রিট খারিজের জন্য ৫০ টি ভাটার তালিকা প্রস্তুত করে বিভাগীয় অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে।রিট খারিজ হয়েছে এমন ৬ টি ইট ভাটা গুড়িয়ে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এ ছাঁড়া আরও কয়েকটি অভিযানের আওতায় রয়েছে।