০১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ২১০ বিদ্যালয়

লক্ষ্মীপুরের তিন উপজেলার ৬ হাজার ৩০০টি ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর জন্য ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। এতে দরিদ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থাগ্রস্ত ও ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আসবে।

গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে লক্ষ্মীপুরে ঝরে পড়া স্কুল শিশুদের (আউট অব স্কুল চিলড্রেন) শিক্ষা বাস্তবায়ন কর্মসূচিবিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান অতিথিরা।

জেলা প্রশাসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সফিউজ্জামন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা কুল প্রদীপ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রিয়াজুল কবির, গ্রামীণ দরিদ্রদের উন্নয়ন সংস্থার (ডরপ্) চেয়ারম্যান ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আজহার আলী তালুকদার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মতিন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক বিদ্যুৎ রায় বর্মন বলেন, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় জেলার সদর, রায়পুর এবং রামগঞ্জ উপজেলার ঝরে পড়া ৮-১৪ বছরের ৬ হাজার ৩০০ শিশুর জন্য প্রতি উপজেলায় ৭০টি করে ২১০টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ৪২ মাস এ শিক্ষাকার্যক্রম চলবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চলবে।তিনি আরো বলেন, অভিভাবকদের দারিদ্র্যতা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, শিশুশ্রম ও ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝরে পড়া শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে তাদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করবে। এতে সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্র ও শিক্ষক নির্বাচন এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণে শতভাগ সততা নিশ্চিত করতে হবে। এর বিন্দুমাত্র ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের হুঁশিয়ারি করে বলেন, বিদ্যালয় চলাকালীন কোনো শিক্ষক যদি অপ্রয়োজনীয় কাজে স্কুল ফাঁকি দিয়ে শিক্ষা অফিস বা অন্য কোনো স্থানে ঘোরাঘুরি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে যার স্থান থেকে সঠিক দায়িত্ব পালন করুন। শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তাহলে শিক্ষার মান উন্নত হবে। আমি শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে চাই।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

জাতিসংঘ অধিবেশন: ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে বাইডেনের

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ২১০ বিদ্যালয়

প্রকাশিত : ১২:০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

লক্ষ্মীপুরের তিন উপজেলার ৬ হাজার ৩০০টি ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর জন্য ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। এতে দরিদ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থাগ্রস্ত ও ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আসবে।

গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে লক্ষ্মীপুরে ঝরে পড়া স্কুল শিশুদের (আউট অব স্কুল চিলড্রেন) শিক্ষা বাস্তবায়ন কর্মসূচিবিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান অতিথিরা।

জেলা প্রশাসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সফিউজ্জামন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা কুল প্রদীপ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রিয়াজুল কবির, গ্রামীণ দরিদ্রদের উন্নয়ন সংস্থার (ডরপ্) চেয়ারম্যান ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আজহার আলী তালুকদার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মতিন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক বিদ্যুৎ রায় বর্মন বলেন, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় জেলার সদর, রায়পুর এবং রামগঞ্জ উপজেলার ঝরে পড়া ৮-১৪ বছরের ৬ হাজার ৩০০ শিশুর জন্য প্রতি উপজেলায় ৭০টি করে ২১০টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ৪২ মাস এ শিক্ষাকার্যক্রম চলবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চলবে।তিনি আরো বলেন, অভিভাবকদের দারিদ্র্যতা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, শিশুশ্রম ও ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝরে পড়া শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে তাদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করবে। এতে সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্র ও শিক্ষক নির্বাচন এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণে শতভাগ সততা নিশ্চিত করতে হবে। এর বিন্দুমাত্র ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের হুঁশিয়ারি করে বলেন, বিদ্যালয় চলাকালীন কোনো শিক্ষক যদি অপ্রয়োজনীয় কাজে স্কুল ফাঁকি দিয়ে শিক্ষা অফিস বা অন্য কোনো স্থানে ঘোরাঘুরি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে যার স্থান থেকে সঠিক দায়িত্ব পালন করুন। শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তাহলে শিক্ষার মান উন্নত হবে। আমি শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে চাই।