০৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘পুলিশ সম্পর্কে আল জাজিরার প্রতিবেদনের তথ্য মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক’

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ শিরোনামে গত ২ ফেব্রুয়ারি সম্প্রচারিত প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান ও এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আরএম ফয়জুর রহমানের সই করা বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আল জাজিরার প্রতিবেদনে জনৈক ব্যক্তির বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার কর্তৃক উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে ওসিদের পদায়নের কথা উল্লেখ করেছেন। ওই ব্যক্তি আদৌ এ ধরনের বক্তব্য প্রদান করেছেন নাকি কাট, কপি ও পেস্ট করে এ বক্তব্য তৈরি করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ বিদেশে অবস্থান করছেন। দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থানের কারণে বর্তমান প্রজন্মের পুলিশিং এবং পুলিশের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে তার কোনও স্বচ্ছ ধারণা নেই। উপরন্তু, বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান প্রজন্মের অফিসারদের সঙ্গে তার কোনও ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। সাক্ষাৎকারে পুলিশ সম্পর্কে তার প্রদত্ত বক্তব্য কল্পনানির্ভর মর্মে প্রতীয়মান হয়। ‘এছাড়া, জনৈক ব্যক্তি তার বক্তব্যে ডিএমপির এয়ারপোর্ট থানায় ওসি বদলি সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন। ডিএমপির এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের অধিক্ষেত্র অন্যান্য থানার মতো বিস্তৃত নয়। ডিএমপির ৫০টি থানার আয়তনের দিক বিবেচনায় সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম আয়তনের এয়ারপোর্ট থানা। এ থানা এলাকায় অন্যান্য থানার তুলনায় কম সংখ্যক জনগণ বসবাস করেন। এছাড়া, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট এই থানার মধ্যে অবস্থিত হলেও এয়ারপোর্ট ও তৎসংলগ্ন সংরক্ষিত এলাকায় এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কর্মপরিধি অত্যন্ত সীমিত। এয়ারপোর্ট ও তৎসংলগ্ন সংরক্ষিত এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), এ্যাভসেক (অঠঝঊঈ), ইমিগ্রেশন পুলিশ, কাস্টমস, সিভিল এভিয়েশন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দায়িত্ব পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে কোনও ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে বা যৌক্তিকভাবে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতারের প্রয়োজন হলে, সুরক্ষিত এয়ারপোর্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাই দায়িত্ব পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে কোনও ঘটনায় মামলা রুজু করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি এয়ারপোর্ট খানায় অভিযোগ দাখিল করেন এবং গ্রেফতার ব্যক্তিকে থানায় সোপর্দ করেন। এয়ারপোর্টের সব ধরনের কার্যক্রম সিসিটিভি মনিটরিংয়ের আওতায় রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা এয়ারপোর্ট থানার কার্যক্রম সার্বক্ষণিক নজরদারি করছেন। অধিকন্তু, এয়ারপোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা টহল কার্যক্রমও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পালন করে থাকে।’প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, “প্রতিবেদনে জনৈক ব্যক্তি তার বক্তব্যে এয়ারপোর্ট থানার ওসি বদলি/পদায়নের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি এবং ডিএমপি কমিশনারের কথা উল্লেখ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একজন সৎ, সজ্জন এবং আদর্শ রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে সর্বমহলে সুপরিচিত।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

‘পুলিশ সম্পর্কে আল জাজিরার প্রতিবেদনের তথ্য মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক’

প্রকাশিত : ১২:০০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ শিরোনামে গত ২ ফেব্রুয়ারি সম্প্রচারিত প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান ও এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আরএম ফয়জুর রহমানের সই করা বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আল জাজিরার প্রতিবেদনে জনৈক ব্যক্তির বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার কর্তৃক উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে ওসিদের পদায়নের কথা উল্লেখ করেছেন। ওই ব্যক্তি আদৌ এ ধরনের বক্তব্য প্রদান করেছেন নাকি কাট, কপি ও পেস্ট করে এ বক্তব্য তৈরি করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ বিদেশে অবস্থান করছেন। দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থানের কারণে বর্তমান প্রজন্মের পুলিশিং এবং পুলিশের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে তার কোনও স্বচ্ছ ধারণা নেই। উপরন্তু, বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান প্রজন্মের অফিসারদের সঙ্গে তার কোনও ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। সাক্ষাৎকারে পুলিশ সম্পর্কে তার প্রদত্ত বক্তব্য কল্পনানির্ভর মর্মে প্রতীয়মান হয়। ‘এছাড়া, জনৈক ব্যক্তি তার বক্তব্যে ডিএমপির এয়ারপোর্ট থানায় ওসি বদলি সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন। ডিএমপির এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের অধিক্ষেত্র অন্যান্য থানার মতো বিস্তৃত নয়। ডিএমপির ৫০টি থানার আয়তনের দিক বিবেচনায় সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম আয়তনের এয়ারপোর্ট থানা। এ থানা এলাকায় অন্যান্য থানার তুলনায় কম সংখ্যক জনগণ বসবাস করেন। এছাড়া, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট এই থানার মধ্যে অবস্থিত হলেও এয়ারপোর্ট ও তৎসংলগ্ন সংরক্ষিত এলাকায় এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কর্মপরিধি অত্যন্ত সীমিত। এয়ারপোর্ট ও তৎসংলগ্ন সংরক্ষিত এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), এ্যাভসেক (অঠঝঊঈ), ইমিগ্রেশন পুলিশ, কাস্টমস, সিভিল এভিয়েশন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দায়িত্ব পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে কোনও ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে বা যৌক্তিকভাবে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতারের প্রয়োজন হলে, সুরক্ষিত এয়ারপোর্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাই দায়িত্ব পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে কোনও ঘটনায় মামলা রুজু করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি এয়ারপোর্ট খানায় অভিযোগ দাখিল করেন এবং গ্রেফতার ব্যক্তিকে থানায় সোপর্দ করেন। এয়ারপোর্টের সব ধরনের কার্যক্রম সিসিটিভি মনিটরিংয়ের আওতায় রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা এয়ারপোর্ট থানার কার্যক্রম সার্বক্ষণিক নজরদারি করছেন। অধিকন্তু, এয়ারপোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা টহল কার্যক্রমও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পালন করে থাকে।’প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, “প্রতিবেদনে জনৈক ব্যক্তি তার বক্তব্যে এয়ারপোর্ট থানার ওসি বদলি/পদায়নের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি এবং ডিএমপি কমিশনারের কথা উল্লেখ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একজন সৎ, সজ্জন এবং আদর্শ রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে সর্বমহলে সুপরিচিত।