১২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শীতেও উৎপাদন হচ্ছে ড্রাগন ফল!

  • অনলাইন ডেস্ক:
  • প্রকাশিত : ০৯:৩৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • 29

বিশেষ আলো ব্যবহারের মাধ্যমে শীতকালের অফ সিজনেও ড্রাগন ফল উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন চট্টগ্রামের কৃষি গবেষকরা। ৩ বছরের গবেষণা সফল হওয়ার পর এখন চলছে উদ্ভাবিত পদ্ধতি বাণিজ্যিকীকরণের প্রক্রিয়া। শীত মৌসুমে ড্রাগন ফল উৎপাদনে কৃষক স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি লাভবান হবেন বলে মনে করছেন গবেষকরা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুতার জালে ঘেরা বাগানের প্রতিটি গাছেই ঝুলছে ড্রাগন ফল এবং ফুল। অথচ শীতের সময় দেশের কোথাও বাগানে ড্রাগন ফল থাকার কথা নয়। মূলত বছরের এপ্রিলে শুরু হয় গাছে ফুল আসা। আর অক্টোবরের মধ্যেই শেষ হয় ড্রাগন ফলের মৌসুম। তবে চট্টগ্রামের কৃষি গবেষকরাই শীত মৌসুমে ড্রাগন ফল উৎপাদনে বিশেষ সফলতা পেয়েছেন।

গবেষকদের তথ্যমতে, শীত মৌসুমে গাছগুলো পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পায় না। যে কারণে এ সময়ে ফুল কিংবা ফল কিছুই পাওয়া যায় না। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে ৬ ঘণ্টা ১০০ ওয়াটের লাইট জ্বালিয়ে ড্রাগন উৎপাদন করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা সহকারী আবদুল হক সুমন জানান, এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে যদি ড্রাগ ফল উৎপাদন করতে পারি তাহলে গরম সিজনের চেয়ে শীতকালেই বেশি লাভ হবে।

ড্রাগন ফলের বাগানে প্রতিটি গাছের চারপাশে চারটি করে লাইটের ব্যবস্থা করতে হয়। আর অফ সিজনের ড্রাগন ফলের সাইজও বড়।

গ্রীষ্ম মৌসুমে দেশে উৎপাদিত ড্রাগন ফল প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু শীত মৌসুমে বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি ড্রাগন ফলের দাম ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

শীতেও উৎপাদন হচ্ছে ড্রাগন ফল!

প্রকাশিত : ০৯:৩৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিশেষ আলো ব্যবহারের মাধ্যমে শীতকালের অফ সিজনেও ড্রাগন ফল উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন চট্টগ্রামের কৃষি গবেষকরা। ৩ বছরের গবেষণা সফল হওয়ার পর এখন চলছে উদ্ভাবিত পদ্ধতি বাণিজ্যিকীকরণের প্রক্রিয়া। শীত মৌসুমে ড্রাগন ফল উৎপাদনে কৃষক স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি লাভবান হবেন বলে মনে করছেন গবেষকরা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুতার জালে ঘেরা বাগানের প্রতিটি গাছেই ঝুলছে ড্রাগন ফল এবং ফুল। অথচ শীতের সময় দেশের কোথাও বাগানে ড্রাগন ফল থাকার কথা নয়। মূলত বছরের এপ্রিলে শুরু হয় গাছে ফুল আসা। আর অক্টোবরের মধ্যেই শেষ হয় ড্রাগন ফলের মৌসুম। তবে চট্টগ্রামের কৃষি গবেষকরাই শীত মৌসুমে ড্রাগন ফল উৎপাদনে বিশেষ সফলতা পেয়েছেন।

গবেষকদের তথ্যমতে, শীত মৌসুমে গাছগুলো পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পায় না। যে কারণে এ সময়ে ফুল কিংবা ফল কিছুই পাওয়া যায় না। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে ৬ ঘণ্টা ১০০ ওয়াটের লাইট জ্বালিয়ে ড্রাগন উৎপাদন করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা সহকারী আবদুল হক সুমন জানান, এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে যদি ড্রাগ ফল উৎপাদন করতে পারি তাহলে গরম সিজনের চেয়ে শীতকালেই বেশি লাভ হবে।

ড্রাগন ফলের বাগানে প্রতিটি গাছের চারপাশে চারটি করে লাইটের ব্যবস্থা করতে হয়। আর অফ সিজনের ড্রাগন ফলের সাইজও বড়।

গ্রীষ্ম মৌসুমে দেশে উৎপাদিত ড্রাগন ফল প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু শীত মৌসুমে বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি ড্রাগন ফলের দাম ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা।