কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট সহিংসতায় বন্ধ হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথমদিন চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাচ্ছে ৩টি লোকাল ও কমিউটার। এবং রাজপথে আটকে থাকে দুটি কন্টেইনার বহনকারী ট্রেন গুলো ও ছেড়ে যাবে ঢাকার উদ্দেশ্যে।
ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি জানিয়েছেন যাত্রীরা। তবে অনেকেই না জানার কারণে যাত্রী চাপ একেবারেই নেই, ট্রেনগুলো বেশ ফাঁকা। এছাড়া, কিছুটা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন যাত্রীরা।
রেলওয়ে, ক্ষতি ১৮ কোটি ৪০ লাখ
যে সব ট্রেনের শিডিউল কারফিউ শিথিলকালীন সময়ে কিংবা শিথিলকালীন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে সেসব লোকাল ট্রেনগুলোই চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেলওয়ে নির্ভর সুত্রে জানান, কারফিউ শিথিল সময়ে এই ট্রেন চালানো হবে। আমরা চট্টগ্রাম ঢাকা থেকে কমিউটার গুলো চালানো শুরু করেছি আপাতত পরিস্থিতি অনুযায়ী আন্তনগর ট্রেন গুলো ও চলবে, তবে আগামীকাল থেকে কন্টেইনার বহনকারী ট্রেন গুলো ও চলবে তেলের কিছু গাড়ি চলতেছে বাকী গুলো ও চালানোর চেষ্টা করতেছি আশাবাদী অচিরেই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার উদ্দেশ্যে তিতাস কমিউটার ছাড়াও ঢাকা থেকে নরসিংদী, টাঙ্গাইল, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম থেকে কর্নফুলী, এক্সপ্রেস, সাগরিকা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম থেকে নাজির হাট,নারায়ণগঞ্জের মধ্যে কয়েকটি কমিউটার ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানেও স্বল্প দূরত্বে কমিউটার ট্রেন চলাচল করতে পারে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে ১৮ জুলাই দুপুর থেকে বন্ধ রয়েছে রেল যোগাযোগ।
বিজনেস বাংলাদেশ/একে