১২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আ’লীগের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই : মেজর হাফিজ

বাংলাদেশে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের আর রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন,’তারা যে নির্মমভাবে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাতে তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই।যারা মেশিনগান দিয়ে নিরস্ত্র ছাত্রদের হত্যা করেছে। যারা গত ১৭ বছর গণতন্ত্রকে পদদলিত করে রেখেছে যারা অতীতেও সকল দলকে নির্বাসিত করে বাকশাল কায়েম করেছিল এই দল গনতন্ত্রের শত্রু।যারা গণতন্ত্রের শত্রু তাদেরকে গণতন্ত্রের মিত্র হিসেবে বলতে পারি না।
মঙ্গলবার বিকেলে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে  বিএনপি’র বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে একশ্রেণীর তথাকথিত বুদ্ধিজীবি আছে যাদের গনতন্ত্র ভাল লাগেনা,গরীব মানুষের শাসন ভালো লাগেনা।সাধারণ মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের রায় দেবে এটা তাদের ভালো লাগেনা।তারা নিজেরা কোনদিন ভোট দেন নাই। নির্বাচনে অংশগ্রহন করা তো দূরের কথা তাদের গণতন্ত্রের যে মূল বক্তব্য তাদের মধ্যে ঘাটতি আছে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন,এই সরকার নির্বাচন সম্পর্কিত সংস্কার সাধন করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেবেন।যাতে এদেশে নির্বাচিত ব্যক্তিদের দিয়ে শাসন কায়েম হয়।সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে বিএনপি তাদের মাথায় তুলে রাখবে।কোন সন্দেহ নাই বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। আমরা গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য,মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে এসেছি।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসবে জানিয়ে তিনি বলেন,বেগম খালেদা জিয়া আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আপনারা দৃঢ় অবিচলভাবে অপেক্ষা করে থাকুন। তারেক রহমান সবাইকে শৃঙ্খলা ভাবে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন  । জিয়াউর রহমানে দল হিসেবে আমরা এমন কোন কাজ করব না যাতে বিএনপির মুখে কালিমা লেপন হয়।নিজেরা সাবধান থাকবেন,দূর্বৃত্তরা অপকর্ম করে বিএনপির উপর দোষ দিবে।
তিনি বলেন,বিএনপি ৩০ দফা সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের এই সংস্কার প্রস্তাবকে মান্য করে ৬ টি কমিশন গঠন করেছে যার ফলে আমরা যে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছি সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ ড. ইউনুসের সরকার নিবে বলে আমরা মনে করি।
বর্তমান সরকার অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করুক।গ্রহনযোগ্য ব্যলতিদের দিয়ে প্র‍্যোজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনা করে একটি কমিশন গঠন করুক।
মেজর হাফিজ বলেন,ঢাকা ও যশোর সেনানিবাসে আশ্রয় নেয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের খুনী বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘৫ তারিখে যেদিন এই সরকার পতন হয়েছে সেদিন ৪৮৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছে তারা সবাই খুনী,দুর্বৃত্ত।যশোর ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিয়েছে আরো কয়েকজন খুনি। জনরোষের পরে যে পুলিশ বাহিনী জনগণকে নিরাপত্তা দিবে কিন্ত তারা খুনী বাহিনী হিসেবে নিজেরাই পালিয়েছে।
সরকারের পতনের পর রংপুরের এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে জমায়েত হতে শুরু করেন বিভাগের আট জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিকেলে সমাবেশস্থল পরিণত হয়। জনসমুদ্রে। এ সময় স্লোগানে মিছিলে রংপুর পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে।
সমাবেশ শেষে শুরু হয় গণতন্ত্র দিবসের র‍্যালী।র‍্যালিটি কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দান থেকে শুরু হয়ে নগরীর শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।র‍্যালীতে অংশ নেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।
ট্যাগ :
জনপ্রিয়

আ’লীগের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই : মেজর হাফিজ

প্রকাশিত : ০৮:০৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের আর রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন,’তারা যে নির্মমভাবে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাতে তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই।যারা মেশিনগান দিয়ে নিরস্ত্র ছাত্রদের হত্যা করেছে। যারা গত ১৭ বছর গণতন্ত্রকে পদদলিত করে রেখেছে যারা অতীতেও সকল দলকে নির্বাসিত করে বাকশাল কায়েম করেছিল এই দল গনতন্ত্রের শত্রু।যারা গণতন্ত্রের শত্রু তাদেরকে গণতন্ত্রের মিত্র হিসেবে বলতে পারি না।
মঙ্গলবার বিকেলে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে  বিএনপি’র বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে একশ্রেণীর তথাকথিত বুদ্ধিজীবি আছে যাদের গনতন্ত্র ভাল লাগেনা,গরীব মানুষের শাসন ভালো লাগেনা।সাধারণ মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের রায় দেবে এটা তাদের ভালো লাগেনা।তারা নিজেরা কোনদিন ভোট দেন নাই। নির্বাচনে অংশগ্রহন করা তো দূরের কথা তাদের গণতন্ত্রের যে মূল বক্তব্য তাদের মধ্যে ঘাটতি আছে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন,এই সরকার নির্বাচন সম্পর্কিত সংস্কার সাধন করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেবেন।যাতে এদেশে নির্বাচিত ব্যক্তিদের দিয়ে শাসন কায়েম হয়।সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে বিএনপি তাদের মাথায় তুলে রাখবে।কোন সন্দেহ নাই বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। আমরা গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য,মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে এসেছি।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসবে জানিয়ে তিনি বলেন,বেগম খালেদা জিয়া আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আপনারা দৃঢ় অবিচলভাবে অপেক্ষা করে থাকুন। তারেক রহমান সবাইকে শৃঙ্খলা ভাবে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন  । জিয়াউর রহমানে দল হিসেবে আমরা এমন কোন কাজ করব না যাতে বিএনপির মুখে কালিমা লেপন হয়।নিজেরা সাবধান থাকবেন,দূর্বৃত্তরা অপকর্ম করে বিএনপির উপর দোষ দিবে।
তিনি বলেন,বিএনপি ৩০ দফা সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের এই সংস্কার প্রস্তাবকে মান্য করে ৬ টি কমিশন গঠন করেছে যার ফলে আমরা যে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছি সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ ড. ইউনুসের সরকার নিবে বলে আমরা মনে করি।
বর্তমান সরকার অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করুক।গ্রহনযোগ্য ব্যলতিদের দিয়ে প্র‍্যোজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনা করে একটি কমিশন গঠন করুক।
মেজর হাফিজ বলেন,ঢাকা ও যশোর সেনানিবাসে আশ্রয় নেয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের খুনী বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘৫ তারিখে যেদিন এই সরকার পতন হয়েছে সেদিন ৪৮৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছে তারা সবাই খুনী,দুর্বৃত্ত।যশোর ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিয়েছে আরো কয়েকজন খুনি। জনরোষের পরে যে পুলিশ বাহিনী জনগণকে নিরাপত্তা দিবে কিন্ত তারা খুনী বাহিনী হিসেবে নিজেরাই পালিয়েছে।
সরকারের পতনের পর রংপুরের এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে জমায়েত হতে শুরু করেন বিভাগের আট জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিকেলে সমাবেশস্থল পরিণত হয়। জনসমুদ্রে। এ সময় স্লোগানে মিছিলে রংপুর পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে।
সমাবেশ শেষে শুরু হয় গণতন্ত্র দিবসের র‍্যালী।র‍্যালিটি কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দান থেকে শুরু হয়ে নগরীর শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।র‍্যালীতে অংশ নেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।