কোটা আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের ৬ থানায় দায়ের করা ১৫টি মামলার প্রতিবেদনে ৬০৭ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
১৫টির মধ্যে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে কোতোয়ালী থানায় ৫টি, পাঁচলাইশ থানায় ৪টি, বাকলিয়া থানায় ১টি, আকবর শাহ থানায় ১টি, চান্দগাঁও থানায় ২টি এবং খুলশী থানায় ২টি মামলা করা হয়।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) আবদুল মান্নান মিয়া জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে মহানগরের বিভিন্ন থানায় ২১ মামলা দায়ের করা হয়।
এরইমধ্যে ১৫টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আরও ৬টি মামলার মধ্যে পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানায় শিক্ষার্থী খুনের দুটি মামলাও তদন্তাধীন রয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, পুলিশের করা খুনের মামলার তদন্ত চলছে। আসামিদের শনাক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য কোটা সংস্কারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে গত ১৭ ও ১৮ জুলাই নগরের মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটে ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ আটজন নিহত হন।
এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২৩টি মামলা করে। গ্রেপ্তার করা হয় শিক্ষার্থী, বিএনপি-জামায়াতের কর্মীসহ অন্তত ৮০০ জনকে। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলে গ্রেপ্তার আসামিরা কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। শুরু থেকেই পুলিশের করা এসব মামলা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে।
জামিনে মুক্তি পেলেও এখনো ট্রমা (মানসিক আঘাত) কাটিয়ে উঠতে পারেননি বলে জানান ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার আসামি চট্টগ্রামের হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আবদুল্লাহ বিন আইয়ুব। তিনি বলেন, ‘মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে গেলে অন্তত আদালতে হাজিরা থেকে বাঁচব।
বিজনেস বাংলাদেশ/একে