কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। হামলার পর সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এমন অবস্থায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে ফের হামলার আশঙ্কা করছে দেশটির সরকার। সেই ভয়ে কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করে দিল দেশটির রাজ্যের সরকার। ঝুঁকি এড়াতে কাশ্মীরের মোট ৮৭টি পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রেরে বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, আবারও হামলার পরিকল্পনা করছে সন্ত্রাসীরা। গত কয়েক দিনে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসীদের একাধিক ‘স্লিপার সেল’ সক্রিয় হয়েছে। এ অবস্থায় জনপ্রিয় কোনো পর্যটনকেন্দ্রে হামলা হতে পারে। সেই আশঙ্কাতেই ৪৮টি পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সব ধরনের ভিসা বাতিল হয়েছে। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত।
পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে একই ধরনের পদক্ষেপ দিয়েছে পাকিস্তানও। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধ, সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
দুই দেশের সরকার প্রধান ও মন্ত্রীদের কথা শুনে মনে হচ্ছে যেকোনো সময় যুদ্ধ বাঁধার আশঙ্কা রয়েছে। তবে, বিশ্লেষক এবং কূটনীতিকরা বলছেন, পাকিস্তান যে কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে, তার জোরালো প্রমাণ এখনও দেখাতে পারেনি ভারত। এ অবস্থায় দিল্লি কোনো পদক্ষেপ নিলে বিশ্ব মঞ্চে তার ন্যায্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চমলান সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা যদি বাড়তে থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।
ডিএস./