০৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনায় বাড়ছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভূমি বিচারিক সেবা

সারাদেশে স্মার্ট ভূমিব্যবস্থা চালু হওয়ায় নাগরিকদের খুব প্রয়োজন ছাড়া ভূমি অফিসে যেতে হচ্ছে না। একবার কোথাও ডিজিটাল জরিপ সম্পন্ন হলে সেখানে ভবিষ্যতে আর জরিপ করার প্রয়োজন পড়ছে না। ভূমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও সীমানা বিরোধ কমে যাচ্ছে বহুলাংশে। দক্ষ কার্যকর স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হওয়াতে নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার অন্যতম মৌলিক ভিত্তি ভূমির ন্যায্য অধিকার।

এর ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা ও দ্রুত মিস মামলা নিষ্পত্তিতে বাড়ছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভূমি বিচারিক সেবা। ভূমি মিস মামলা নিষ্পত্তিতেই ভূমির বিচারিক সেবার যে জটলা আদালতে ও ভূমি অফিসে তৈরী হয় তা কমে আসবে বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। কম্পিউটারের কিবোর্ডে ক্লিক করলেই সামনে ভেসে উঠছে জায়গাটি কোথায়? বর্তমান অবস্থা কি? মামলা রয়েছে কিনা? সরকারী সম্পত্তি কিনাসহ এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ১৭ টি তথ্য। সীতাকুণ্ড উপজেলা ভূমি কার্যালয় ও চারটি তহসিল কার্যালয়ের জন্য এই সিস্টেম জাদুর কাঠি হয়ে কাজ করছে এখন।

এতে পুরো উপজেলার ভূমি বিষয়ক বিভিন্ন জটিলতার প্রাথমিক সমাধানের জন্য মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানের প্রয়োজন পড়ছে না ভূমি কর্মকর্তাদের। এ ধারাবাহিকতা চট্টগ্রাম জেলার ১৫ টি উপজেলার মধ্যে প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন তিনি। মূত ভূমিদস্যু চক্রের যে বলয় সীতাকুণ্ডে তৈরী করা হয়েছে তা ভেঙে দিতে জমদূত হয়ে কাজ করছেন এই এসিল্যান্ড। ২০২৪ সালে সমন্বিত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নামে এই সিস্টেম চালু করে গিয়েছিলেন তৎকালীন সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বর্তমান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভিপি সেল) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আলাউদ্দিন। ভূমি সেবা গ্রহীতা মুরাদপুর ইউনিয়নের গোপ্তাখালী এলাকার আকবর বলেন, আমার চাচা আবুল হোসেনের একটি খতিয়ানে করণিক ভুল সংশোধন করতে গেলে এসিল্যান্ডের সহযোগীতায় অল্প সময়ে সংশোধন করে দেন।

অপর ভূমি সেবা গ্রহীতা কুমিরা ইউনিয়নের আশরাফ বলেন, প্রয়োজনীয় কিছু নথি সংগ্রহের জন্য আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যেতে হবে। কিন্তু সরকারী কমিশনার তাদের তৈরী করা সিস্টেম থেকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য এই মুহূর্তের মধ্যে দিয়েছেন। সহজে সব সেবা পেয়ে আমি সন্তুষ্ট। সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখন সমন্বিত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের কারণে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান মুহূর্তেই করা হচ্ছে।

ডিএস./

ট্যাগ :

পরশুরামে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণে শুভ উদ্বোধন

স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনায় বাড়ছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভূমি বিচারিক সেবা

প্রকাশিত : ০৪:৩৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সারাদেশে স্মার্ট ভূমিব্যবস্থা চালু হওয়ায় নাগরিকদের খুব প্রয়োজন ছাড়া ভূমি অফিসে যেতে হচ্ছে না। একবার কোথাও ডিজিটাল জরিপ সম্পন্ন হলে সেখানে ভবিষ্যতে আর জরিপ করার প্রয়োজন পড়ছে না। ভূমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও সীমানা বিরোধ কমে যাচ্ছে বহুলাংশে। দক্ষ কার্যকর স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হওয়াতে নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার অন্যতম মৌলিক ভিত্তি ভূমির ন্যায্য অধিকার।

এর ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা ও দ্রুত মিস মামলা নিষ্পত্তিতে বাড়ছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভূমি বিচারিক সেবা। ভূমি মিস মামলা নিষ্পত্তিতেই ভূমির বিচারিক সেবার যে জটলা আদালতে ও ভূমি অফিসে তৈরী হয় তা কমে আসবে বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। কম্পিউটারের কিবোর্ডে ক্লিক করলেই সামনে ভেসে উঠছে জায়গাটি কোথায়? বর্তমান অবস্থা কি? মামলা রয়েছে কিনা? সরকারী সম্পত্তি কিনাসহ এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ১৭ টি তথ্য। সীতাকুণ্ড উপজেলা ভূমি কার্যালয় ও চারটি তহসিল কার্যালয়ের জন্য এই সিস্টেম জাদুর কাঠি হয়ে কাজ করছে এখন।

এতে পুরো উপজেলার ভূমি বিষয়ক বিভিন্ন জটিলতার প্রাথমিক সমাধানের জন্য মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানের প্রয়োজন পড়ছে না ভূমি কর্মকর্তাদের। এ ধারাবাহিকতা চট্টগ্রাম জেলার ১৫ টি উপজেলার মধ্যে প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন তিনি। মূত ভূমিদস্যু চক্রের যে বলয় সীতাকুণ্ডে তৈরী করা হয়েছে তা ভেঙে দিতে জমদূত হয়ে কাজ করছেন এই এসিল্যান্ড। ২০২৪ সালে সমন্বিত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নামে এই সিস্টেম চালু করে গিয়েছিলেন তৎকালীন সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বর্তমান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভিপি সেল) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আলাউদ্দিন। ভূমি সেবা গ্রহীতা মুরাদপুর ইউনিয়নের গোপ্তাখালী এলাকার আকবর বলেন, আমার চাচা আবুল হোসেনের একটি খতিয়ানে করণিক ভুল সংশোধন করতে গেলে এসিল্যান্ডের সহযোগীতায় অল্প সময়ে সংশোধন করে দেন।

অপর ভূমি সেবা গ্রহীতা কুমিরা ইউনিয়নের আশরাফ বলেন, প্রয়োজনীয় কিছু নথি সংগ্রহের জন্য আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যেতে হবে। কিন্তু সরকারী কমিশনার তাদের তৈরী করা সিস্টেম থেকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য এই মুহূর্তের মধ্যে দিয়েছেন। সহজে সব সেবা পেয়ে আমি সন্তুষ্ট। সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখন সমন্বিত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের কারণে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান মুহূর্তেই করা হচ্ছে।

ডিএস./