০৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
১৯৯১ ঘূর্ণিঝড়ের চিত্র প্রদর্শনীতে সিটি মেয়র

চট্টগ্রামে দশ লক্ষ গাছ রোপন করা হবে

১৯৯১ সালের ভয়াল ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় ‘ মেরি এন’ স্মরণে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে যে ভয়াবহ তান্ডব ঘটিয়েছে তা এখনো স্বজনহারা মানুষ ভুলতে পারেনি। ওই সময়ের ঘূর্ণিঝড় ছিলো ভয়াল এক ট্রাজেডি।

মেয়র বলেন, ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেতে আমাদের টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। একই সাথে আমাদেরকে প্রচুর বৃক্ষ রোপন করে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এ লক্ষ্যে মেয়র শহরের ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ লাখ চারা রোপন করা হবে বলে জানান।

২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহ তান্ডবের চিত্র প্রদশনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসবকথা বলেন।

তিনি বলেন, ওই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কাজ করেছি। ঘূর্ণিঝড়ে স্বজনহারানো মানুষগুলো ঘরবাড়ির পাশাপাশি খাদ্য সংকটে ভুগছিল। আমরা উপকূল অঞ্চলের বাঁশখালী, আনোয়ারা, শহরের মধ্যে গতেঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে সেই করুণ দৃশ্য খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই আগামীতে উপকূল রক্ষায় অবশ্যই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চিত্র প্রদর্শনীতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, আলোকচিত্র প্রদর্শনী উপকমিটির আহবায়ক গোলাম মাওলা মুরাদ, আলোকচিত্রী সাংবাদিক শিশির বড়ুয়া ও রূপম চক্রবর্তী, দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল
বিজনেস বাংলাদেশ ব্যুরো চীফ জাহাঙ্গীর আলম, শাহাদাত চৌধুরী, এম এ হোসাইন, সাইফি আনোয়ার আজিম প্রমুখ।

প্রদর্শনীতে মোট ৫০টি ছবি প্রদর্শিত হয়। এসব ছবিতে ৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা ফুটে উঠে।

‘কাকঁডার ভোজ’ শিরোনামে প্রদর্শিত একটি ছবির বর্ণনা দিতে গিয়ে আলোকচিত্রী শিশির বডুয়া বলেন, একটি লাশকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে লাল কাকঁডার দল পুরোপুরি নিঃশেষ করতে দেখেছি। সেই বীভৎস চিত্র ধারণ করেছি আমার ক্যামেরায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৯১ এর ভয়াবহতার চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করেছিলাম। সেই স্মৃতিগুলো চোখে ভাসলে এখনো কষ্ট পাই। তিনি দুর্লভ এই ছবিগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান।

ডিএস/

ট্যাগ :

পরশুরামে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণে শুভ উদ্বোধন

১৯৯১ ঘূর্ণিঝড়ের চিত্র প্রদর্শনীতে সিটি মেয়র

চট্টগ্রামে দশ লক্ষ গাছ রোপন করা হবে

প্রকাশিত : ০৪:১৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

১৯৯১ সালের ভয়াল ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় ‘ মেরি এন’ স্মরণে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে যে ভয়াবহ তান্ডব ঘটিয়েছে তা এখনো স্বজনহারা মানুষ ভুলতে পারেনি। ওই সময়ের ঘূর্ণিঝড় ছিলো ভয়াল এক ট্রাজেডি।

মেয়র বলেন, ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেতে আমাদের টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। একই সাথে আমাদেরকে প্রচুর বৃক্ষ রোপন করে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এ লক্ষ্যে মেয়র শহরের ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ লাখ চারা রোপন করা হবে বলে জানান।

২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহ তান্ডবের চিত্র প্রদশনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসবকথা বলেন।

তিনি বলেন, ওই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কাজ করেছি। ঘূর্ণিঝড়ে স্বজনহারানো মানুষগুলো ঘরবাড়ির পাশাপাশি খাদ্য সংকটে ভুগছিল। আমরা উপকূল অঞ্চলের বাঁশখালী, আনোয়ারা, শহরের মধ্যে গতেঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে সেই করুণ দৃশ্য খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই আগামীতে উপকূল রক্ষায় অবশ্যই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চিত্র প্রদর্শনীতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, আলোকচিত্র প্রদর্শনী উপকমিটির আহবায়ক গোলাম মাওলা মুরাদ, আলোকচিত্রী সাংবাদিক শিশির বড়ুয়া ও রূপম চক্রবর্তী, দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল
বিজনেস বাংলাদেশ ব্যুরো চীফ জাহাঙ্গীর আলম, শাহাদাত চৌধুরী, এম এ হোসাইন, সাইফি আনোয়ার আজিম প্রমুখ।

প্রদর্শনীতে মোট ৫০টি ছবি প্রদর্শিত হয়। এসব ছবিতে ৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা ফুটে উঠে।

‘কাকঁডার ভোজ’ শিরোনামে প্রদর্শিত একটি ছবির বর্ণনা দিতে গিয়ে আলোকচিত্রী শিশির বডুয়া বলেন, একটি লাশকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে লাল কাকঁডার দল পুরোপুরি নিঃশেষ করতে দেখেছি। সেই বীভৎস চিত্র ধারণ করেছি আমার ক্যামেরায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৯১ এর ভয়াবহতার চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করেছিলাম। সেই স্মৃতিগুলো চোখে ভাসলে এখনো কষ্ট পাই। তিনি দুর্লভ এই ছবিগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান।

ডিএস/