১১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বসের চেয়ে সহকর্মীরাই বেশি মানসিক চাপে রাখে

অফিসে কাজ সংক্রান্ত মানসিক চাপের জন্য আমরা সাধারণত রাগী বসকে দায়ী করে থাকি। কিন্তু এর প্রকৃত কারণ আসলে রাগী বস নয়, ঘাতক আমাদের সহকর্মীরা।

এর ব্যতিক্রমও থাকতে পারে, তবে বিজ্ঞান বলছে, কর্মক্ষেত্রে রাগী বসের চেয়ে সহকর্মীদের সাথে মোটামুটি খারাপ সম্পর্ক মেনে চললে বেশি মানসিক চাপে ভুগতে হয়।

প্রায় ২০ বছর ধরে তেল আবিব ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ২৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ৮২০ জন কর্মজীবীর ওপর এই গবেষণা চালিয়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন পেশার মানুষের ওপর ১৯৮৮ সাল থেকে এই গবেষণা চালানো হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

ওইসব কর্মজীবীরা সহকর্মী, বসের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক বজায় রেখে চলে এবং কর্মপরিবেশসহ বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। পাশাপাশি এই সময়ে তাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

গবেষকরা এর সমাপনী টানেন এভাবে যে, মানুষের অত্যধিক মৃত্যু ঝুঁকির জন্য কর্মঘণ্টা কিংবা মন্দ বস নয়, দায়ী সহকর্মীরা। তারা বলেন, যাদের ক্ষেত্রে সহকর্মীদের সামাজিক সমর্থন বেশি তাদের মৃত্যু ঝুঁকি কম। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ছিলেন নারী। গবেষণার পরিসংখ্যান বলছে, গবেষণার এই সময়টাতে ৫৩ জন নারীর মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল সহকর্মীদের দুর্বল সামাজিক সমর্থন।

অর্থাৎ এই গবেষণার সহজ বার্তা হলো- সহকর্মীদের সামাজিক সমর্থন হলো ‘প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা’ এবং তা মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

এ ধরনের আরও একটি গবেষণা পরিচালনা করে কর্মজীবীদের নিয়ে কাজ করা প্লাটফর্ম টাইনি পালস (TINYpulse)। তারা ৪০ হাজার কর্মজীবীকে নিয়ে গবেষণা করে একই ধরনের সমাধানে পৌঁছায়। তারা জানায়, একজন কর্মজীবীর হাসিখুশি থাকার ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ সরাসরি বসের চেয়ে সহকর্মীদের ওপর নির্ভর করে। অন্য আরেকটি গবেষণা দেখায়, তাদের গবেষণায় অংশগ্রহণকারী কর্মজীবীর ৬২ শতাংশের অভিযোগ বসের চেয়ে সহকর্মীরাই তাদের বেশি মানসিক চাপে রাখেন।

অর্থাৎ আপনিও যদি কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপে থাকেন, এটি সম্ভবত আপনার সহকর্মীদের কারণে যারা আপনার পেছনে বা যাদের সঙ্গে আপনার মতের অমিল তাদের সঙ্গে কথা বলে। আপনার বসের কারণে নয়।

বিজনেস বাংলাদেশ-/ এমএ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

আজ বিচার বিভাগের ‘রোডম্যাপ’ তুলে ধরবেন প্রধান বিচারক

বসের চেয়ে সহকর্মীরাই বেশি মানসিক চাপে রাখে

প্রকাশিত : ০৪:২৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯

অফিসে কাজ সংক্রান্ত মানসিক চাপের জন্য আমরা সাধারণত রাগী বসকে দায়ী করে থাকি। কিন্তু এর প্রকৃত কারণ আসলে রাগী বস নয়, ঘাতক আমাদের সহকর্মীরা।

এর ব্যতিক্রমও থাকতে পারে, তবে বিজ্ঞান বলছে, কর্মক্ষেত্রে রাগী বসের চেয়ে সহকর্মীদের সাথে মোটামুটি খারাপ সম্পর্ক মেনে চললে বেশি মানসিক চাপে ভুগতে হয়।

প্রায় ২০ বছর ধরে তেল আবিব ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ২৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ৮২০ জন কর্মজীবীর ওপর এই গবেষণা চালিয়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন পেশার মানুষের ওপর ১৯৮৮ সাল থেকে এই গবেষণা চালানো হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

ওইসব কর্মজীবীরা সহকর্মী, বসের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক বজায় রেখে চলে এবং কর্মপরিবেশসহ বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। পাশাপাশি এই সময়ে তাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

গবেষকরা এর সমাপনী টানেন এভাবে যে, মানুষের অত্যধিক মৃত্যু ঝুঁকির জন্য কর্মঘণ্টা কিংবা মন্দ বস নয়, দায়ী সহকর্মীরা। তারা বলেন, যাদের ক্ষেত্রে সহকর্মীদের সামাজিক সমর্থন বেশি তাদের মৃত্যু ঝুঁকি কম। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ছিলেন নারী। গবেষণার পরিসংখ্যান বলছে, গবেষণার এই সময়টাতে ৫৩ জন নারীর মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল সহকর্মীদের দুর্বল সামাজিক সমর্থন।

অর্থাৎ এই গবেষণার সহজ বার্তা হলো- সহকর্মীদের সামাজিক সমর্থন হলো ‘প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা’ এবং তা মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

এ ধরনের আরও একটি গবেষণা পরিচালনা করে কর্মজীবীদের নিয়ে কাজ করা প্লাটফর্ম টাইনি পালস (TINYpulse)। তারা ৪০ হাজার কর্মজীবীকে নিয়ে গবেষণা করে একই ধরনের সমাধানে পৌঁছায়। তারা জানায়, একজন কর্মজীবীর হাসিখুশি থাকার ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ সরাসরি বসের চেয়ে সহকর্মীদের ওপর নির্ভর করে। অন্য আরেকটি গবেষণা দেখায়, তাদের গবেষণায় অংশগ্রহণকারী কর্মজীবীর ৬২ শতাংশের অভিযোগ বসের চেয়ে সহকর্মীরাই তাদের বেশি মানসিক চাপে রাখেন।

অর্থাৎ আপনিও যদি কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপে থাকেন, এটি সম্ভবত আপনার সহকর্মীদের কারণে যারা আপনার পেছনে বা যাদের সঙ্গে আপনার মতের অমিল তাদের সঙ্গে কথা বলে। আপনার বসের কারণে নয়।

বিজনেস বাংলাদেশ-/ এমএ