বরিশালের হিজলা থানাধীন মিয়ারচরের কাছে মেঘনা নদীর শাখা নদীতে খননকাজে ব্যবহৃত ড্রেজারের ছয়টি পল্টুন নোঙর করা ছিল। ঘূর্ণিঝড়ে কারণে প্রবল বাতাসে সৃষ্ট ঢেউয়ের তোড়ে রোববার দুপুরে একটি পল্টুন নোঙর ছিঁড়ে ২৫-৩০ শ্রমিকসহ নদীতে ভেসে যায়।
ঘূর্ণি বাতাস সঙ্গে প্রচণ্ড ঢেউ শ্রমিকসহ পল্টুনটি নদীতে ভাসছে।
এ সময় ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে এক শ্রমিকদের উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান এক ব্যক্তি। নাম জানান রমজান। পরে ৯৯৯ থেকে তাকে হিজলা থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৯৯৯ এর পক্ষ থেকে বিষয়টি বরিশাল পুলিশ কন্ট্রোল রুম, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে জানানো হয় এবং উদ্ধার তৎপরতা চালানোর অনুরোধ করা হয়।
সংবাদ পেয়ে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই হিজলা থানা পুলিশের একটি দল ও নৌ-পুলিশের একটি দল যৌথভাবে একটি বড় ইঞ্জিনের নৌযান নিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারে রওনা দেয়।
উত্তাল নদীতে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টাব্যাপী অভিযানের পর পুলিশ ও উদ্ধারকারী যৌথদলটি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীতে ভাসমান পল্টুন থেকে ১৮ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে। এরপর কোস্টগার্ড সেখানে পৌঁছে ১২ শ্রমিককে উদ্ধার করে। মোট ৩০ জন শ্রমিকের জীবন রক্ষা পায়।
বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেইজে এভাবেই উদ্ধার অভিযানটির বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
হিজলার ইউএনও মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম জানান, ৯৯৯-এ ফোন দেয়ায় তাদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। তা না হয়তো হলে আমরা জানতেও পারতাম না।
বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান