০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কিডনি নষ্ট করে কামরাঙা

রসালো ফল কামরাঙা। এটি টক মিষ্টিজাতীয়। কামরাঙা কাঁচা ও রান্না করেও খাওয়া হয়। এতে অত্যধিক পরিমাণ অক্সালেট ও নিউরো টক্সিন থাকে। ফলে কিডনি রোগীর জন্য বিপদ। ভারতের ‘কিডনি কেয়ার সোসাইটি’-র প্রতিষ্ঠাতা ডা. প্রতিম সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত স্থূলকায় ভুগছেন এবং কিডনির রোগের ঝুঁকিতে আছেন অথবা যাদের কিডনিজনিত রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের কামরাঙা না খাওয়াই ভাল।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১০০ মিলিলিটার কামরাঙার জুসে ০.৫০ গ্রাম অক্সিলিক এসিড রয়েছে। কামরাঙার মধ্যে নিউরো টক্সিনও রয়েছে। যাদের কিডনি দুর্বল বা অকার্যকর তাদের কিডনি এই মারাত্মক নিউরো টক্সিনকে বের করে দিতে পারে না।

তখন এটি ব্রেন এবং নার্ভাস সিস্টেমের ওপর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ফলে মাথা ঘোরা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, খিচুনি হওয়া, অজ্ঞান হয়ে পড়া এমনকি কোমাতে চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

গর্ভবতী মায়েদেরও কামরাঙা এড়িয়ে চলা উচিত। খেলে গর্ভজাত শিশুর ক্ষতি হতে পারে।

তবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা জানান, কামরাঙা সবার জন্য ক্ষতিকর নয়। কামরাঙার অনেক ঔষধিগুণ রয়েছে। এই ফল রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়। পেটের ব্যথায় কামরাঙা খুব উপকারী। এটি অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। রক্ত পরিশোধন করে।

কামরাঙা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। দীর্ঘদিনের জমাট সর্দি বের করে দিয়ে কাশি উপশম করে। শুকনো কামরাঙা জ্বরের জন্য খুব উপকারী। কৃমির সমস্যা সমাধানে কামরাঙা কার্যকর।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

কিডনি নষ্ট করে কামরাঙা

প্রকাশিত : ১২:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

রসালো ফল কামরাঙা। এটি টক মিষ্টিজাতীয়। কামরাঙা কাঁচা ও রান্না করেও খাওয়া হয়। এতে অত্যধিক পরিমাণ অক্সালেট ও নিউরো টক্সিন থাকে। ফলে কিডনি রোগীর জন্য বিপদ। ভারতের ‘কিডনি কেয়ার সোসাইটি’-র প্রতিষ্ঠাতা ডা. প্রতিম সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত স্থূলকায় ভুগছেন এবং কিডনির রোগের ঝুঁকিতে আছেন অথবা যাদের কিডনিজনিত রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের কামরাঙা না খাওয়াই ভাল।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১০০ মিলিলিটার কামরাঙার জুসে ০.৫০ গ্রাম অক্সিলিক এসিড রয়েছে। কামরাঙার মধ্যে নিউরো টক্সিনও রয়েছে। যাদের কিডনি দুর্বল বা অকার্যকর তাদের কিডনি এই মারাত্মক নিউরো টক্সিনকে বের করে দিতে পারে না।

তখন এটি ব্রেন এবং নার্ভাস সিস্টেমের ওপর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ফলে মাথা ঘোরা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, খিচুনি হওয়া, অজ্ঞান হয়ে পড়া এমনকি কোমাতে চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

গর্ভবতী মায়েদেরও কামরাঙা এড়িয়ে চলা উচিত। খেলে গর্ভজাত শিশুর ক্ষতি হতে পারে।

তবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা জানান, কামরাঙা সবার জন্য ক্ষতিকর নয়। কামরাঙার অনেক ঔষধিগুণ রয়েছে। এই ফল রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়। পেটের ব্যথায় কামরাঙা খুব উপকারী। এটি অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। রক্ত পরিশোধন করে।

কামরাঙা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। দীর্ঘদিনের জমাট সর্দি বের করে দিয়ে কাশি উপশম করে। শুকনো কামরাঙা জ্বরের জন্য খুব উপকারী। কৃমির সমস্যা সমাধানে কামরাঙা কার্যকর।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান