০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হঠাৎ শীতে কাঁপছে নগরবাসী

আকস্মিক নামা শীতে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকেই কাঁপতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা। এক দিন আগেই হালকা কাপড় পরে বাইরে বের হওয়া গেলেও সূর্য ডোবার পর থেকে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। কনকনে হিম বয়ে আনা বাতাসে উঠছে হাড় কাঁপুনি। আর শীত সবচেয়ে বেশি পড়ছে রাজধানীতে।

আকস্মিক চলে আসা এই ঠাণ্ডা ‍অনুভূতিতে মানিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নগরবাসীকে। পাবলিক বাস বা কার ছাড়া অন্য কোনো পরিবহনের যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে। বাইকাররা পুরো শরীর মুড়িয়েও রক্ষা পাচ্ছেন না ঠাণ্ডা থেকে। খবর আসছে, হঠাৎ করে ঠাণ্ডার এ আক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়ে। বর্তমানে রাজধানীতে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য প্রায় অর্ধেক কমে এসেছে। তারপর রয়েছে ‘উত্তরা বাতাস’। ফলে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর তাপমাত্রা কমবে। ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে ব্যারোমিটারের পারদ। দিনের তাপমাত্রা এখন ২০ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে আছে। এটা আরো নিচে নেমে এলে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য আরো কমে যাবে। ফলে ঠাণ্ডার অনুভূতি আরো বাড়বে।

আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শেষভাগে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক বা দুটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) কিংবা মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

হঠাৎ শীতে কাঁপছে নগরবাসী

প্রকাশিত : ১০:০০:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

আকস্মিক নামা শীতে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকেই কাঁপতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা। এক দিন আগেই হালকা কাপড় পরে বাইরে বের হওয়া গেলেও সূর্য ডোবার পর থেকে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। কনকনে হিম বয়ে আনা বাতাসে উঠছে হাড় কাঁপুনি। আর শীত সবচেয়ে বেশি পড়ছে রাজধানীতে।

আকস্মিক চলে আসা এই ঠাণ্ডা ‍অনুভূতিতে মানিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নগরবাসীকে। পাবলিক বাস বা কার ছাড়া অন্য কোনো পরিবহনের যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে। বাইকাররা পুরো শরীর মুড়িয়েও রক্ষা পাচ্ছেন না ঠাণ্ডা থেকে। খবর আসছে, হঠাৎ করে ঠাণ্ডার এ আক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়ে। বর্তমানে রাজধানীতে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য প্রায় অর্ধেক কমে এসেছে। তারপর রয়েছে ‘উত্তরা বাতাস’। ফলে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর তাপমাত্রা কমবে। ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে ব্যারোমিটারের পারদ। দিনের তাপমাত্রা এখন ২০ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে আছে। এটা আরো নিচে নেমে এলে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য আরো কমে যাবে। ফলে ঠাণ্ডার অনুভূতি আরো বাড়বে।

আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শেষভাগে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক বা দুটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) কিংবা মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান