বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই মেলা শেষ হবে আগামী শনিবার।
বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এক সংবাদ সম্মেলনে মেলা আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এবং পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন সভ্যতার রূপান্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন ইত্যাদি। প্রযুক্তির মহাসড়ক ফাইভ জি‘র বিস্ময়কর প্রভাব প্রদর্শনে দেশে এই প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উপযোগী মানব সম্পদ সৃষ্টি, ডিজিটাল প্রযুক্তির আধুনিক সংস্করণের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’র অন্যতম মূল লক্ষ্য।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অগ্রগতি, অবস্থান এবং ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরতে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বাঙালি জাতির ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছর ২০২০ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার এই আয়োজন অত্যন্ত সময়োচিত কর্মসূচি বলে আমি মনে করি।
মেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সর্বশেষ অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এবং পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন সভ্যতার রূপান্তরে আইওটি, রোবটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন প্রযুক্তি ও ফাইভ জি’র প্রভাব সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হবে।
এ বছর মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক’। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের নিয়ে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মেলায় ১০০টি স্টল, মিনি প্যাভিলিয়ন ও প্যাভিলিয়ন থাকবে। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরা হবে।
মেলায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পৃথক কর্নার থাকবে। সেই কর্নারে প্রযুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনী তুলে ধরা হবে। মেলায় প্রযুক্তির বিস্ময়কর সংস্করণ ফাইভ জি প্রদর্শন করা হবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান