০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

বঙ্গবন্ধু সেতু দেখতে এসে লাশ হল দুই ইন্টার্নি চিকিৎসক

বঙ্গবন্ধু সেতু দেখতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছে দুই ইন্টার্নি চিকিৎসক। ম্যাটস টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থী মায়েন উদ্দিন হামেম ও সাদিয়া ইসলাম ওরফে নদী মিলে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর পার হতে গিয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হয়। তারা দুইজনই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালে ইন্টার্নি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিল। নিহত মায়েন উদ্দিন হামেম লক্ষ্মীপুরের মনোহরপুর গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং নিহত সাদিয়া ইসলাম নদী গাজীপুরের কাপাসিয়ার তরগাঁও গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বরে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাভেলসের একটি গাড়ি তাদের চাপা দেয়। এঘটনায় ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে বঙ্গবন্ধু সেতূপূর্ব থানা পুলিশ। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী বাসের যাত্রী হামিদুর বলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা গাড়িটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার আগেই অজ্ঞাতস্থানে গাড়িটির ব্রেকের সমস্যা দেখা দেয়ায় তা ঠিক করে ঢাকার দিকে রওনা দেয়। পরে সেতুর পার হওয়ার পরই দ্রুত গতিতে সেতু গোলচত্ত্বরে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। পরে আমাদের গাড়ির ব্রেক ফেলের সন্দেহ হলে ও তাদের চাপ প্রয়োগ করলে মহাসড়কের কালিহাতীর কামাক্ষামোড় এলাকায় গাড়ি রেখে পালিয়ে যায় চালক ও হেলপার।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জায়েদ আব্দুল্লাহ বিন সরোয়ার বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গোবিন্দগঞ্জ ট্রাভেলস (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯৯৭৫) গাড়িটি সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর পার হওয়ার সময় ওই দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনা স্থলেই তারা নিহত হয়। নিহত শিক্ষার্থীর বাড়ি মায়েন উদ্দিন হামেম নোয়াখালী। অন্য শিক্ষার্থীর বাড়ির ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এঘটনায় ঘাতক বাসটিকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার কামাক্ষামোড় এলাকা থেকে আটক করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর অনুমোদন জাতিসংঘের

বঙ্গবন্ধু সেতু দেখতে এসে লাশ হল দুই ইন্টার্নি চিকিৎসক

প্রকাশিত : ০৯:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

বঙ্গবন্ধু সেতু দেখতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছে দুই ইন্টার্নি চিকিৎসক। ম্যাটস টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থী মায়েন উদ্দিন হামেম ও সাদিয়া ইসলাম ওরফে নদী মিলে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর পার হতে গিয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হয়। তারা দুইজনই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালে ইন্টার্নি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিল। নিহত মায়েন উদ্দিন হামেম লক্ষ্মীপুরের মনোহরপুর গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে এবং নিহত সাদিয়া ইসলাম নদী গাজীপুরের কাপাসিয়ার তরগাঁও গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বরে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাভেলসের একটি গাড়ি তাদের চাপা দেয়। এঘটনায় ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে বঙ্গবন্ধু সেতূপূর্ব থানা পুলিশ। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী বাসের যাত্রী হামিদুর বলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা গাড়িটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার আগেই অজ্ঞাতস্থানে গাড়িটির ব্রেকের সমস্যা দেখা দেয়ায় তা ঠিক করে ঢাকার দিকে রওনা দেয়। পরে সেতুর পার হওয়ার পরই দ্রুত গতিতে সেতু গোলচত্ত্বরে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। পরে আমাদের গাড়ির ব্রেক ফেলের সন্দেহ হলে ও তাদের চাপ প্রয়োগ করলে মহাসড়কের কালিহাতীর কামাক্ষামোড় এলাকায় গাড়ি রেখে পালিয়ে যায় চালক ও হেলপার।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জায়েদ আব্দুল্লাহ বিন সরোয়ার বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গোবিন্দগঞ্জ ট্রাভেলস (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯৯৭৫) গাড়িটি সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর পার হওয়ার সময় ওই দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনা স্থলেই তারা নিহত হয়। নিহত শিক্ষার্থীর বাড়ি মায়েন উদ্দিন হামেম নোয়াখালী। অন্য শিক্ষার্থীর বাড়ির ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এঘটনায় ঘাতক বাসটিকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার কামাক্ষামোড় এলাকা থেকে আটক করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ