বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী ওমরাহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। গত মাসে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও দেশে ফেরেননি তাদের কেউ। এমনকি পরিবারের সাথেও যোগাযোগ করেননি।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের ২১৭ নম্বর রুমের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আল আমীন, একই অনুষদের মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র ফাহিম হাসান খান, কৃষি অনুষদের শেখ মিজানুর রহমান ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল মোমেন। তারা প্রত্যেকেই একই হলে থাকতেন বলে জানা গেছে।
সাদমান ট্রাভেল এজেন্সি কর্তৃপক্ষের হাসানুজ্জামান নামে একজন বলেন, সাধারণত ওমরাহ পালন শেষে ফিরে চলে আসে। আবার মাঝেমধ্যে দেখা যায় সেখান থেকে পালিয়ে যায় অবৈধভাবে কাজ করার জন্য। এরকমও হতে পারে, তাঁদের অভিভাবককে আমরা বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি বলেন,গত ২৫জানুয়ারি অাল-অামিন,শেখ মিজানুর রহমান,রিয়াজুল হক এবং বিএসএস ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ফাহিম ও অাব্দুল মোমেন ওমরা পালনে সিৌদি অারব যান,কিন্তু সেখানে ওমরাহ পালন না করে অন্য কোথাও চলে যান।
পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। পরিবারের কারোর সাথে আপনাদের যোগাযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবারের লোকজন একবার আমাদের অফিসে এসেছিল। এরপর থেকে তাদের আমাদের কোন যোগাযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
এদিকে নিখোঁজদের সহপাঠিরা বলছেন, তারা নিয়মিত ধর্ম পালন করতো। এছাড়া আরও কিছু চোখে পড়েছে কিনা জানতে বলেন, এর বাইরে আমরা কিছু দেখিনি।
নিখোঁজ ফাহিমের বাবা মা বলেন, কোন অবস্থায় কেমন আছে তা আল্লাহ জানেন। ওমরাহ যাবার আগে সবশেষ কথা হয়েছিল। এর পর থেকে আর কোন কথা হয়নি।
এদিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আজাহারুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে আছি এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। আপনারা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, এখন তাঁরা কাজের সন্ধানে সেখানে থেকে গেল নাকি অনুকিছু আছে সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারী শেখ ইফতেখারুল ইসলাম আরিফ নিখোঁজ হয়। পরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। আনসার উল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ছিল।
বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান




















