ঝালকাঠিতে অঘোষিত ‘লকডাউন’ চলছে।
বুধবার সকাল থেকে শহরের সবগুলো সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। বাঁশ দিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি টিম শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চোকপোস্ট বসিয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেলও চলতে দেওয়া হচ্ছে না। অহেতুক বাইরে বের হওয়া জনসাধারণকে ঘরে ফিরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সুগন্ধা নদীর সবগুলো খেয়া বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড, চাঁদকাঠি চৌমাথা, ফায়ার সার্ভিস মোড়, কলেজ মোড়, সদর চৌমাথা, পূর্বচাঁদকাঠি, প্রেস ক্লাব মোড়, কলেজ মোড়, লঞ্চঘাট এলাকায় বাঁশ দিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে পুলিশ। এসব স্থান দিয়ে যানবাহনই নয়, জনসাধারণকেও যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না। উল্লেখযোগ্য কারণ বলার পরে, দু-একজনকে যেতে দেওয়া হচ্ছে। পুরো শহরে অঘোষিত ‘লকডাউন’ চলছে। কয়েকটি রিকশা শহরে বের হলেও পুলিশ যাত্রী নামিয়ে তাদের বাড়ি ফিরে যেতে বলছে। শহরের কলেজ খেয়াঘাট ও পৌরসভা খেয়াঘাট এলাকায় পুলিশ অবস্থান নিয়ে লোকজনকে বাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খেয়া চলাচল।
এদিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘর থেকে অপ্রয়োজনে বের হওয়া মানুষকে বাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। অপরদিকে অহেতুক ঘোরাফেরা করায় করায় এবং নিয়ম না মেনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ১১ জনকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এম এম মাহমুদ হাসান বলেন, ঝালকাঠি জেলাকে নিরাপদ রাখতে শহরের প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বাঁশ দিয়ে সড়ক আটকে দিয়েছে। যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না।
বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান


























