১১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

গাজীপুর জেলা লকডাউন

গাজীপুর জেলাকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার ( ১১ এপ্রিল ) সন্ধ্যায় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  এস.এম তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রাণঘাতী করানো ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলায় ও জরুরি সুরক্ষার প্রয়োজনে দেশের অভ্যন্তরে কারানোভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভার সিন্ধান্ত অনুযায়ী জেলায় জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গাজীপুর জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষেণা করা হলো। এক্ষেত্রে ভিন্ন জেলা হতে পাশ্ববর্তী জেলায় গমণের উদ্দেশ্যে ট্রানজিট হিসেবে জাতীয় মহাসড়ক ব্যবহার ব্যতীত জেলা, উপজেলার যে কোন সীমানা দিয়ে প্রবেশ ও প্রস্থানে নিষেধাজ্ঞা আরাপে করা হলো। নৌপথেও এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এ সময়ে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণজমায়েত, গণপরিবহন এবং দিনরাতে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকবে তবে জরুরি পরিসেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য ও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ, সংগ্রহ, উৎপাদন ও পরিবহন ইত্যাদি এর আওতা বহির্ভ‚ত থাকবে। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

লকডাউন বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক এস.  এম  তরিকুল ইসলাম বিজনেস বাংলাদেশকে বলেন ,  রাজধানী ঢাকায় এবং পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেশী হওয়ায় ঐ সব স্থান থেকে মানুষদের গাজীপুরে আগমন ঠেকাতে এবং গাজীপুরবাসীকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতেই জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। আমি চাই, এই দুর্যোগের সময়  প্রত্যেকে নিজে নিরাপদ থাকতে  ও অপরকে নিরাপদে রাখতে এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজে বাচঁতে এবং অপরকে বাঁচাতে  নিজ নিজ বাসাবাড়িতে থাকুক।
অন্যদিকে আইইডিসিআরের ১১ এপ্রিলের আপডেড   রিপোর্টে জানা গেছে,    করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যায় গাজীপুর জেলা ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে। ঐ রিপোর্টে দেখা যায়,  রাজধানীতে ২৫১ জন জন, নারায়নগঞ্জে ৮৩ জন, ঢাকা সিটির বাইরে ঢাকা জেলায় ১৮ জন, মাদারীপুরে ১৩ জন এবং গাজীপুরে ১২ জনের মধ্যে  করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান

ট্যাগ :

গাজীপুর জেলা লকডাউন

প্রকাশিত : ০২:১৪:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০
গাজীপুর জেলাকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার ( ১১ এপ্রিল ) সন্ধ্যায় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  এস.এম তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রাণঘাতী করানো ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলায় ও জরুরি সুরক্ষার প্রয়োজনে দেশের অভ্যন্তরে কারানোভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভার সিন্ধান্ত অনুযায়ী জেলায় জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গাজীপুর জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষেণা করা হলো। এক্ষেত্রে ভিন্ন জেলা হতে পাশ্ববর্তী জেলায় গমণের উদ্দেশ্যে ট্রানজিট হিসেবে জাতীয় মহাসড়ক ব্যবহার ব্যতীত জেলা, উপজেলার যে কোন সীমানা দিয়ে প্রবেশ ও প্রস্থানে নিষেধাজ্ঞা আরাপে করা হলো। নৌপথেও এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এ সময়ে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণজমায়েত, গণপরিবহন এবং দিনরাতে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকবে তবে জরুরি পরিসেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য ও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ, সংগ্রহ, উৎপাদন ও পরিবহন ইত্যাদি এর আওতা বহির্ভ‚ত থাকবে। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

লকডাউন বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক এস.  এম  তরিকুল ইসলাম বিজনেস বাংলাদেশকে বলেন ,  রাজধানী ঢাকায় এবং পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেশী হওয়ায় ঐ সব স্থান থেকে মানুষদের গাজীপুরে আগমন ঠেকাতে এবং গাজীপুরবাসীকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতেই জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। আমি চাই, এই দুর্যোগের সময়  প্রত্যেকে নিজে নিরাপদ থাকতে  ও অপরকে নিরাপদে রাখতে এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজে বাচঁতে এবং অপরকে বাঁচাতে  নিজ নিজ বাসাবাড়িতে থাকুক।
অন্যদিকে আইইডিসিআরের ১১ এপ্রিলের আপডেড   রিপোর্টে জানা গেছে,    করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যায় গাজীপুর জেলা ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে। ঐ রিপোর্টে দেখা যায়,  রাজধানীতে ২৫১ জন জন, নারায়নগঞ্জে ৮৩ জন, ঢাকা সিটির বাইরে ঢাকা জেলায় ১৮ জন, মাদারীপুরে ১৩ জন এবং গাজীপুরে ১২ জনের মধ্যে  করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান