নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউনের আজ সোমবার (১৩ এপ্রিল) ষষ্ঠ দিন চলছে। জেলার প্রবেশমুখে কঠোর অবস্থানে থেকে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নারায়ণগঞ্জ করোনার হটস্পট বা ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় জেলা থেকে যেন কেউ বেরিয়ে যেতে না পারে ও জেলায় প্রবেশ করতে না পারে, সেই ব্যাপারে সড়ক ও নৌপথে চেকপোস্ট বসিয়ে তদারকি করছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইসিডিআর) তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১০৯ জন।
এদিকে, শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালকে করোনা ইউনিটে প্রস্তুত করতে কাজ চলছে। এই ইউনিটে ৪০টি আইসোলেশন ওয়ার্ড ও ১০ শয্যার আইসিইউ ওয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে করোনা ইউনিট চালু হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাশাসন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সেলিম রেজা জানান, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা থেকে যে সকল প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্স নারায়ণগঞ্জে আসবেন, তাদের থাকা-খাওয়ার জন্য জালকুড়ি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ চারটি বাংলো খালি করা হয়েছে। চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকরা যাতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক গৌতম সাহা জানান, করোনা ইউনিট প্রস্তুতির জন্য জোর তৎপরতা চলছে। ৩-৪ দিনের মধ্যে কাঁচ দিয়ে ঘেরা বেড তৈরি হলেই রোগী ভর্তি করা শুরু হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন মো. ইমতিয়াজ আহমেদ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় রোববার (১২ এপ্রিল) থেকে নতুন সিভিল সার্জন চৌধুরী ইকবাল বাহার দায়িত্ব নিয়ে করোনা প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান






















