০৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সেলফি নেওয়ার প্রবণতা মানসিক রোগ!

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৯:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭
  • 190

সেলফি তুলতে কার না ভাল লাগে? কিন্তু নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং ত্যাগরাজ স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের একদল অ্যানালিস্ট এই বিষয়ে গবেষণা চালাতে গিয়ে লক্ষ করেছিলেন যে যারা কথায় কথায় নিজ সেলফি নিয়ে থাকেন, তাদের ব্রেনের গ্রাফ সাধারণ মানুষদের থেকে একেবারেই আলাদা। কারণ সেলফি নেওয়ার প্রবণতা একটি মেন্টাল প্রবলেম।

বিশেষজ্ঞরা এই মেন্টাল ডিসঅর্ডারকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন, বর্ডারলাইন, অ্যাকিউট এবং ক্রনিক। যারা দিনে কম করে তিনটে সেলফি তোলেন, কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন না, তারা বর্ডারলাইনে রয়েছে। অন্যদিকে যারা দিনে তিনবার সেলফি নিয়ে প্রতিবারই সোস্যাল মিডিয়ার পোস্ট করেন, তারা অ্যাকিউট অবস্থার শিকার। আর একেবারে শেষে আসে ক্রনিক মেন্টাল ডিসঅর্ডার।

সেলফি নেওয়ার এমন প্রবণতা যে কেবল মানসিকভাবে আমাদের অসুস্থ করে তোলে এমন নয়, সেই সঙ্গে শরীরের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে। যেমন-

১। সেলফি মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনেঃ
২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত হওয়া একটি স্ট্যাডিতে দেখা গেছে সারা বিশ্বের মধ্যে সেল্ফি সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা এখন প্রচুর। স্ট্যাডি চলাকালীন সারা বিশ্বে প্রায় ১২৭ জন সেলফি নিতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন, যার মধ্যে ৭৬ জনেরই বসবাস ছিল ভারতে।

২। ত্বকের সৌন্দর্য কমে যায়ঃ
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সেলফি নেওয়ার সময় মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের প্রভাব মারাত্মকভাবে পরে মুখের উপর। তাই তো বারে বারে নিজ সেলফি নিলে রেডিয়েশনের প্রভাবে স্কিন টোন খারাপ হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে সৌন্দর্য কমে চোখে পরার মতো। বারে বারে সেলফি নিলে ত্বকের উপর বলিরেখা প্রকাশ পেতে শুরু করে।

৩। মানসিক শান্তি দূরে রাখেঃ
গবেষণায় দেখা গেছে সেলফি নেওয়ার সময় আমাদের মস্তিষ্কের উপর নানা কারণে চাপ পরতে থাকে। ফলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই তো প্রতিটি সেলফি নেওয়ার পর কম করে এক মিনিট মেডিডেট করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। তাদের মতে এমনটা করলে নাকি সেলফি সম্পর্কিত মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সূত্র- টেলিগ্রাফ ও বোল্ডস্কাই অবলম্বনে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

সেলফি নেওয়ার প্রবণতা মানসিক রোগ!

প্রকাশিত : ০৯:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

সেলফি তুলতে কার না ভাল লাগে? কিন্তু নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং ত্যাগরাজ স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের একদল অ্যানালিস্ট এই বিষয়ে গবেষণা চালাতে গিয়ে লক্ষ করেছিলেন যে যারা কথায় কথায় নিজ সেলফি নিয়ে থাকেন, তাদের ব্রেনের গ্রাফ সাধারণ মানুষদের থেকে একেবারেই আলাদা। কারণ সেলফি নেওয়ার প্রবণতা একটি মেন্টাল প্রবলেম।

বিশেষজ্ঞরা এই মেন্টাল ডিসঅর্ডারকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন, বর্ডারলাইন, অ্যাকিউট এবং ক্রনিক। যারা দিনে কম করে তিনটে সেলফি তোলেন, কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন না, তারা বর্ডারলাইনে রয়েছে। অন্যদিকে যারা দিনে তিনবার সেলফি নিয়ে প্রতিবারই সোস্যাল মিডিয়ার পোস্ট করেন, তারা অ্যাকিউট অবস্থার শিকার। আর একেবারে শেষে আসে ক্রনিক মেন্টাল ডিসঅর্ডার।

সেলফি নেওয়ার এমন প্রবণতা যে কেবল মানসিকভাবে আমাদের অসুস্থ করে তোলে এমন নয়, সেই সঙ্গে শরীরের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে। যেমন-

১। সেলফি মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনেঃ
২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত হওয়া একটি স্ট্যাডিতে দেখা গেছে সারা বিশ্বের মধ্যে সেল্ফি সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা এখন প্রচুর। স্ট্যাডি চলাকালীন সারা বিশ্বে প্রায় ১২৭ জন সেলফি নিতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন, যার মধ্যে ৭৬ জনেরই বসবাস ছিল ভারতে।

২। ত্বকের সৌন্দর্য কমে যায়ঃ
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সেলফি নেওয়ার সময় মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের প্রভাব মারাত্মকভাবে পরে মুখের উপর। তাই তো বারে বারে নিজ সেলফি নিলে রেডিয়েশনের প্রভাবে স্কিন টোন খারাপ হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে সৌন্দর্য কমে চোখে পরার মতো। বারে বারে সেলফি নিলে ত্বকের উপর বলিরেখা প্রকাশ পেতে শুরু করে।

৩। মানসিক শান্তি দূরে রাখেঃ
গবেষণায় দেখা গেছে সেলফি নেওয়ার সময় আমাদের মস্তিষ্কের উপর নানা কারণে চাপ পরতে থাকে। ফলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই তো প্রতিটি সেলফি নেওয়ার পর কম করে এক মিনিট মেডিডেট করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। তাদের মতে এমনটা করলে নাকি সেলফি সম্পর্কিত মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সূত্র- টেলিগ্রাফ ও বোল্ডস্কাই অবলম্বনে।