কক্সবাজারে একদিনেই(সোমবার) ৫ উপজেলা ৬ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন মহিলা রয়েছেন। এদিন সর্বাধিক ১২২ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা টেষ্ট করা হয়।
এদের মধ্যে কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় দুইজন, চকরিয়া, রামু ও মহেশখালীতে একজন করে এবং নাইক্ষ্যংছড়ির একজন রয়েছেন। তারা হলেন মহেশখালীর বাহাদুর আলম, চকরিয়ার সাইদুল ইসলাম, উখিয়ার বানু বিবি ও শাহআলম, রামুর সালেহ আহমদ এবং নাইক্ষ্যংছড়ির আলম আরা,
এ নিয়ে গত ২৭ দিনে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯৫৫ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা টেষ্ট হয়েছে। এদের মধ্যে সর্বশেষ একজন চিকিৎসকসহ ২১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়।
এদের মধ্যে কক্সবাজার শহরের দুইজন, মহেশখালীর ৯ জন, টেকনাফের ৪ জন, উখিয়ার দুইজন, চকরিয়ার একজন ও রামুর একজন এবং পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দুইজন রয়েছেন। এছাড়াও কক্সবাজারের প্রথম করোনা রোগীর টেষ্ট হয়েছিল ঢাকার আইইডিসিআর ল্যাবে। ওই রোগীসহ কক্সবাজার জেলায় ২০ জন ও নাইক্ষ্যংছড়িতে দুইজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে কক্সবাজারে চকরিয়ার প্রথম রোগী ও নাইক্ষ্যংছড়ির প্রথম রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্র ও স্থানীয়রা জানান, নতুন শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে রামুর একজন কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের গাছুয়া পাড়া, চকরিয়ার একজন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন, মহেশখালীর একজন মাতারবাড়ি ইউনিয়ন, উখিয়ার দুইজন হাজী পাড়া ও কোটবাজারের বাসিন্দা।
সুত্র মতে, এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে প্রত্যেকেই জেলার বাইরে থেকে এসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই এসেছেন ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে আসা। এদের মধ্যে দুইজন মাছ ব্যবসায়ী, একজন আম ব্যবসায়ী, দুইজন তাবলীগফেরত এবং একজন গার্মেন্ট কর্মীও রয়েছেন। তবে টেকনাফের এক নারী চিকিৎসক উপজেলা হাসপাতালে রোগীর সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে সোমবার শনাক্ত হওয়া ৬ জনের চকরিয়ার সাইদুল ইসলাম চট্রগ্রামের একটি গার্মেন্টে চাকুরী করেন। তিনি ৮ এপ্রিল চকরিয়ায় আসেন। কয়েকদিন ধরে তার জ্বর-কাঁশি হলে ২৬ এপ্রিল চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তার কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজারে পাটানো হলে ২৭ এপ্রিল করোনা পজেটিভ আসে। অন্যদের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, কক্সবাজার ল্যাবে প্রতিদিন ৯৬ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষার সুযোগ থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা আসছে না। তবে এখন অনেক বেশি নমুনা পাওয়া যাচ্ছে। সোমবার একদিনে সর্বাধিক ১২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
তিনি জানান, সোমবারের ১২২টি নমুনারই পরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। ওখান থেকেই আনুষ্টানিক ভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবটিকে ঢাকাস্থ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্টান (আইইডিসিআর) করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নির্ধারণ করেছে। গত পহেলা এপ্রিল থেকে ল্যাবটি চালু হয়েছে।
জেলার প্রথম করোনা রোগীর টেষ্ট হয়েছিল ঢাকাস্থ আইইডিসিআর ল্যাবে। এই রোগীসহ জেলায় ২০ জন ও নাইক্ষ্যংছড়িতে দুইজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। কক্সবাজারের প্রথম রোগী ও নাইক্ষ্যংছড়ির প্রথম রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।####
বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান মাসুদ




















