০৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীতে এপর্যন্ত ২৭জনের করোনা সনাক্ত

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় ২৭জনে কোভিড-(১৯) পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে এবং এদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সূত্রে জানা গেছে, জেলা থেকে মোট ৬৬৫টি নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে প্রেরণ করা হলে এর মধ্যে ৩৮৮ টি রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ২৭জন কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।
কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাউফল উপজেলায় ১০জন, রাঙ্গাবালী ৪জন, দশমিনা ৩জন, গলাচিপা ২জন, দুমকি ৫ জন, কলাপাড়া ১জন ও সদর উপজেলায় ২জন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে দুমকি উপজেলায় দুলাল হোসাইন (৩২) নামের একজন এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলায় সেহাকাঠী এলাকার আনোয়ার হোসেন (৬৫) নামে একজন।
রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৪জনের মধ্যে তিন জনই ভারতীয় নাগরিক। তাদের বাড়ি ভারতের কোলাকাতার বিহারে। তারা তাবলীগে বাংলাদেশে আসছিলো। যাদের পজিটিভ আসছে, তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছে, তাদের কন্টাক্ট ট্রাকিং করা হয়েছে। সকলের হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ইতিপূর্বে প্রশাসনের মাধ্যমে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ৮৫টি শয্যার আইসোলেশন ইউনিট পরিপূর্ণ ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রস্তুত রয়েছে সকল উপজেলায় ৫০ শয্যার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন ইউনিট এবং ভাসমান কোয়ারান্টাইন ইউনিট।
প্রতিটি ইউনিটের জন্য চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, ঔষধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সারঞ্জাম সহ প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় ৬৪ জন চিকিৎসক ও ৭৭জন সেবিকা করোনা আক্রান্ত রোগী সেবার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়াও জেলার হাসপাতালে পর্যাপ্ত ঔষধ, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম মজুদ রয়েছে।
জেলার সকল উপজেলায় মানুষের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ তৎপরতা চলমান। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউপি সচিবগণ কাজ করে যাচ্ছেন।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে জেলা পুলিশ, র‍্যাব, সেনা বাহিনী, আনসার সদস্যরা।
ট্যাগ :

সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পটুয়াখালীতে এপর্যন্ত ২৭জনের করোনা সনাক্ত

প্রকাশিত : ০৭:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় ২৭জনে কোভিড-(১৯) পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে এবং এদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সূত্রে জানা গেছে, জেলা থেকে মোট ৬৬৫টি নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে প্রেরণ করা হলে এর মধ্যে ৩৮৮ টি রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ২৭জন কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।
কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাউফল উপজেলায় ১০জন, রাঙ্গাবালী ৪জন, দশমিনা ৩জন, গলাচিপা ২জন, দুমকি ৫ জন, কলাপাড়া ১জন ও সদর উপজেলায় ২জন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে দুমকি উপজেলায় দুলাল হোসাইন (৩২) নামের একজন এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলায় সেহাকাঠী এলাকার আনোয়ার হোসেন (৬৫) নামে একজন।
রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৪জনের মধ্যে তিন জনই ভারতীয় নাগরিক। তাদের বাড়ি ভারতের কোলাকাতার বিহারে। তারা তাবলীগে বাংলাদেশে আসছিলো। যাদের পজিটিভ আসছে, তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছে, তাদের কন্টাক্ট ট্রাকিং করা হয়েছে। সকলের হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ইতিপূর্বে প্রশাসনের মাধ্যমে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ৮৫টি শয্যার আইসোলেশন ইউনিট পরিপূর্ণ ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রস্তুত রয়েছে সকল উপজেলায় ৫০ শয্যার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন ইউনিট এবং ভাসমান কোয়ারান্টাইন ইউনিট।
প্রতিটি ইউনিটের জন্য চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, ঔষধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সারঞ্জাম সহ প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় ৬৪ জন চিকিৎসক ও ৭৭জন সেবিকা করোনা আক্রান্ত রোগী সেবার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়াও জেলার হাসপাতালে পর্যাপ্ত ঔষধ, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম মজুদ রয়েছে।
জেলার সকল উপজেলায় মানুষের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ তৎপরতা চলমান। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউপি সচিবগণ কাজ করে যাচ্ছেন।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে জেলা পুলিশ, র‍্যাব, সেনা বাহিনী, আনসার সদস্যরা।