করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে সুলতানুল আরেফিন হীরা (৪৪) নামে জামালপুরের আরেক পুলিশ সদস্যের ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে।
গত ২ মে শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি । ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে পুলিশের এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তার বাড়ি সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামে। তার স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক ছেলে রেখে গেছেন। নিহত পুলিশের মরদেহ আজ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
পুলিশ সূত্র জানা যায়, দায়িত্ব পালন অবস্থায় এসআই সুলতানুল আরেফিন গত ৩০ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি আগে থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গত ২ মে শনিবার সকালে মারা যান।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহা-পরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা জানান, এসআই সুলতানুল আরেফিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে কর্মরত ছিলেন। দায়িত্ব পালনকালে করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরে দুপুরে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও মরদেহ জামালপুরের বাড়িতে এসে পৌছেনি।
জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিককে জানান, সুলতানুল আরেফিনের মরদেহ এখনো তার নিজবাড়িতে এসে পৌঁছায়নি। আমিসহ পুলিশ প্রশাসনের লোকজন তার বাড়িতেই অবস্থান করছি। গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল রাতে করোনায় আক্রান্ত মারা যান জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ১০নং ঝাউগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রবাড়ী গ্রামের আশিক মাহমুদ (৪২) নামে এক পুলিশ সদস্য। তিনিও রাজারবাগ পুলিশ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি ঢাকার ট্রাফিক উত্তর বিভাগের এয়ারপোর্ট জোনে কর্মরত ছিলেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান মাসুদ




















