০৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

ময়মনসিংহে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু, সুস্থ্য হয়েছেন ১৩ জন

ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন। অপরদিকে সুস্থ্য হয়েছেন ১৩ জন। রবিবার (৩ মে) ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন এবিএম  মসিউল আলম এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, গত ৪ দিনে মোট ১৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩২ জন। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ১০৩ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৪ জন। এর মাঝে ১১২ জনই ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী। আক্রান্তদের মাঝে মৃত্যু বরণ করেছেন চারজন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র  জানায়, যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের অনেকেই চিকিৎসা এবং হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পর ধীরে ধীর সুস্থ হয়ে উঠছেন। আগামীতে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়বে। তবে একই সাথে এখন পরীক্ষার সুযোগ বাড়ার কারনে আক্রান্তেরও হারও বাড়বে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, জেলায় শুরুর দিকে গফরগাঁও পৌর শহরের ৬০ বছর বয়সী একজন নারী আক্রান্ত হন। তিনি গত ২৮ এপ্রিল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। মুক্তাগাছা আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের একজন পুলিশ সদস্যও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ঈশ্বরগঞ্জের একই পরিবারের চার নারীসহ বেশ কয়েকজন রোগীও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে জেলার ভালুকায় করোনা আক্রান্ত আবু হানিফ (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আবু হানিফ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের খারুয়ালী গজারিখাল এলাকার বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বনকূয়া গ্রামে।
করোনায় আক্রান্ত আবু হানিফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল।
শনিবার (৩ মে) ভোররাতে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তবে মরদেহ কোথায় দাফন হবে এখনো তার পরিবার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছুই জানা যায়নি। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, আবু হানিফা গত তিন মাস ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। তার একটি কিডনির ৭৫ ভাগ ও অপরটি ৮০ ভাগ ডেমেজ ধরা পড়ে। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) প্রতি সপ্তাহে দুবার ডায়লোসেস করতেন।
হাসপাতালে ডায়লোসেস বন্ধ থাকায় গত ১৮ এপ্রিল তিনি প্রাইভেট ক্লিনিকে ডায়লোসেস করতে যান। ক্লিনিক থেকে তাকে বলা হয় করোনার পরীক্ষা করে আসার জন্য। পরদিন ১৯ এপ্রিল দুপুরে ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালে (পিসিআর ল্যাব) গিয়ে নমুনা (ছোয়াব) দিয়ে আসেন।
রাতে পিসিআর ল্যাব থেকে মোবাইল ফোনে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানানো হয় আবু হানিফের কোভিড-১৯ পজেটিভ। ২০এপ্রিল বিকালে তাকে ঢাকা উত্তরার কুয়েত মৈত্রি সরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।সেখানে দীর্ঘ ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে শনিবার ভোর রাতে মারা যান আবু হানিফ।
বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান মাসুদ
ট্যাগ :

রামগঞ্জে হতদরিদ্র হৃদয়ের স্বপ্ন পুরন করবে স্মার্ট জহির

ময়মনসিংহে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু, সুস্থ্য হয়েছেন ১৩ জন

প্রকাশিত : ১০:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মে ২০২০
ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন। অপরদিকে সুস্থ্য হয়েছেন ১৩ জন। রবিবার (৩ মে) ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন এবিএম  মসিউল আলম এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, গত ৪ দিনে মোট ১৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩২ জন। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ১০৩ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৪ জন। এর মাঝে ১১২ জনই ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী। আক্রান্তদের মাঝে মৃত্যু বরণ করেছেন চারজন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র  জানায়, যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের অনেকেই চিকিৎসা এবং হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পর ধীরে ধীর সুস্থ হয়ে উঠছেন। আগামীতে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়বে। তবে একই সাথে এখন পরীক্ষার সুযোগ বাড়ার কারনে আক্রান্তেরও হারও বাড়বে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, জেলায় শুরুর দিকে গফরগাঁও পৌর শহরের ৬০ বছর বয়সী একজন নারী আক্রান্ত হন। তিনি গত ২৮ এপ্রিল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। মুক্তাগাছা আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের একজন পুলিশ সদস্যও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ঈশ্বরগঞ্জের একই পরিবারের চার নারীসহ বেশ কয়েকজন রোগীও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে জেলার ভালুকায় করোনা আক্রান্ত আবু হানিফ (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আবু হানিফ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের খারুয়ালী গজারিখাল এলাকার বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বনকূয়া গ্রামে।
করোনায় আক্রান্ত আবু হানিফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল।
শনিবার (৩ মে) ভোররাতে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তবে মরদেহ কোথায় দাফন হবে এখনো তার পরিবার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছুই জানা যায়নি। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, আবু হানিফা গত তিন মাস ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। তার একটি কিডনির ৭৫ ভাগ ও অপরটি ৮০ ভাগ ডেমেজ ধরা পড়ে। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) প্রতি সপ্তাহে দুবার ডায়লোসেস করতেন।
হাসপাতালে ডায়লোসেস বন্ধ থাকায় গত ১৮ এপ্রিল তিনি প্রাইভেট ক্লিনিকে ডায়লোসেস করতে যান। ক্লিনিক থেকে তাকে বলা হয় করোনার পরীক্ষা করে আসার জন্য। পরদিন ১৯ এপ্রিল দুপুরে ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালে (পিসিআর ল্যাব) গিয়ে নমুনা (ছোয়াব) দিয়ে আসেন।
রাতে পিসিআর ল্যাব থেকে মোবাইল ফোনে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানানো হয় আবু হানিফের কোভিড-১৯ পজেটিভ। ২০এপ্রিল বিকালে তাকে ঢাকা উত্তরার কুয়েত মৈত্রি সরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।সেখানে দীর্ঘ ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে শনিবার ভোর রাতে মারা যান আবু হানিফ।
বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান মাসুদ