কক্সবাজার জেলার ৮ উপজোর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে করোনা রোগী। শুক্রবার দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় প্রথম করোনা শনাক্তের পর পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়লো ভাইরাসটি। নতুন ২১ জনসহ ৪৫ দিনে করোনায় আক্রান্ত হলো ১৫২ জন। এরমধ্যে ৫২ জন আক্রান্ত হয়েছে শুধুমাত্র চকরিয়া। যা চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৩ উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে জেলায় বেড়ে গেছেন ৩ রোহিঙ্গা সহ আরও ২১ রোগী। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যাটি ছিলো ১৩১। আর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ১৫মে শুক্রবার সে সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫২ জনে। এর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি করোনা রোগী পাওয়া গেছে চকরিয়া উপজেলায়।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, ১৫মে শুক্রবার জেলায় শনাক্ত হয়েছে নতুন আরও ২১ করোনা রোগী। এর আগে গত ৭ই মে জেলায় সর্বোচ্চ ১৯ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ১ জন, চকরিয়ার ১৫জন,কুতুবদিয়ায় ১ জন, পেকুয়ায় ১ জন এবং ৩ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। আর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এক জনের।
এনিয়ে কক্সবাজার জেলায় শুক্রবার ১৫মে পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ১৫২ জন। এরমধ্যে, চকরিয়া উপজেলায় ৫২জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৩৬জন, পেকুয়া উপজেলায় ২১জন, মহেশখালী উপজেলায় ১২জন, উখিয়া উপজেলায় ১৪জন, টেকনাফ উপজেলায় ৭জন, রামু উপজেলায় ৪জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী ৫ জন। কুতুবদিয়া উপজেলায় আজই প্রথম ১জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হলো। আক্রান্ত ১৫২ জনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৩৩ জন। তন্মধ্যে চকরিয়ায় ৯ জন সুস্থ হয়েছেন নিশ্চিত করে চকরিয়া স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা.মুহাম্মদ শাহবাজ বলেন, চকরিয়া হাসপাতালের আইসোলেশনে চকরিয়ার ১০ জন, পেকুয়ার ১৬ জন রয়েছেন। চকরিয়ার অপর রোগীরা নিজ বাড়ীতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া জানান,শুক্রবার ১৮৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ জন পজিটিভ হয়েছেন।২১ জনই কক্সবাজার জেলার।এর মধ্যে ৩ জন রোহিঙ্গা। এছাড়া রামুর ২ জন ফলোআপ রোগী রয়েছেন। বাকী ১৬১ জনের নমুনায় সবারই নেগেটিভ এসেছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।মুলত অসচেতনতার কারনেই প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই প্রতিষেধকহীন এই ভাইরাসকে ঠেকানোর একমাত্র কার্যকর উপায় হচ্ছে জনসমাগম এড়িয়ে চলা।
বিজনেস বাংলাদেশ/ইমরান মাসুদ




















