০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

নওগাঁয় ৩ পুলিশ সদস্যসহ নতুন ৬ করোনায় শনাক্ত, মোট শনাক্ত ৮৯

নওগাঁয় নতুন করে আরও ছয় জনের করোনা (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্ত ছয়জনের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য ও আট বছরের এক শিশু রয়েছে।

১৯ মে (মঙ্গলবার) বিকেলে নওগাঁর সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ নিয়ে নওগাঁ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৯ জনে। এর মধ্যে ৫ চিকিৎসকসহ ১৭ স্বাস্থ্যকর্মী ও ১৩ পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব থেকে ২৬১টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল ই–মেইলে আসে। এতে ৯ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ এসেছে। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হওয়া নয়জন করোনা রোগীর মধ্যে তিনজন পুরোনো রোগী। দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় ওই তিনজনের আবারও করোনা পজিটিভ আসে। নতুন আক্রান্ত ছয়জনের মধ্যে এক পুলিশ সদস্যসহ নওগাঁ সদর ‍উপজেলায় দুজন,  পত্নীতলা  উপজেলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন এবং মহাদেবপুর উপজেলার দক্ষিণ দুলালপাড়া গ্রামের আট বছর বয়সী এক শিশুর শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

নতুন আক্রান্ত তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে একজন নওগাঁ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত থাকা কনস্টেবল, অপর দুজনের একজন  পত্নীতলা  তলা থানার উপপরিদর্শক ও অপরজন কনস্টেবল। এর আগেও  পত্নীতলা তলায় থানায় তিন পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ ছাড়া  পত্নীতলা  তলা থানায় পুলিশ স্টাফ কোয়ার্টারে কাজ করা এক নারী বাবুর্চির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, নওগাঁ শহরের চকদেবপাড়ার আক্রান্ত এক ব্যক্তি সম্প্রতি ঢাকা থেকে ফিরেছেন। বাকি পাঁচজন স্থানীয়ভাবে পূর্বে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় আক্রান্ত হয়েছেন।

আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

গত ২৩ এপ্রিল নওগাঁ জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় একজন নার্সের শরীরে। এখন পর্যন্ত এ জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৮৯ জন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা যাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ইমরান মাসুদ

ট্যাগ :

রামগঞ্জে হতদরিদ্র হৃদয়ের স্বপ্ন পুরন করবে স্মার্ট জহির

নওগাঁয় ৩ পুলিশ সদস্যসহ নতুন ৬ করোনায় শনাক্ত, মোট শনাক্ত ৮৯

প্রকাশিত : ০৯:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

নওগাঁয় নতুন করে আরও ছয় জনের করোনা (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্ত ছয়জনের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য ও আট বছরের এক শিশু রয়েছে।

১৯ মে (মঙ্গলবার) বিকেলে নওগাঁর সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ নিয়ে নওগাঁ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৯ জনে। এর মধ্যে ৫ চিকিৎসকসহ ১৭ স্বাস্থ্যকর্মী ও ১৩ পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব থেকে ২৬১টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল ই–মেইলে আসে। এতে ৯ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ এসেছে। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হওয়া নয়জন করোনা রোগীর মধ্যে তিনজন পুরোনো রোগী। দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় ওই তিনজনের আবারও করোনা পজিটিভ আসে। নতুন আক্রান্ত ছয়জনের মধ্যে এক পুলিশ সদস্যসহ নওগাঁ সদর ‍উপজেলায় দুজন,  পত্নীতলা  উপজেলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন এবং মহাদেবপুর উপজেলার দক্ষিণ দুলালপাড়া গ্রামের আট বছর বয়সী এক শিশুর শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

নতুন আক্রান্ত তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে একজন নওগাঁ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত থাকা কনস্টেবল, অপর দুজনের একজন  পত্নীতলা  তলা থানার উপপরিদর্শক ও অপরজন কনস্টেবল। এর আগেও  পত্নীতলা তলায় থানায় তিন পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ ছাড়া  পত্নীতলা  তলা থানায় পুলিশ স্টাফ কোয়ার্টারে কাজ করা এক নারী বাবুর্চির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, নওগাঁ শহরের চকদেবপাড়ার আক্রান্ত এক ব্যক্তি সম্প্রতি ঢাকা থেকে ফিরেছেন। বাকি পাঁচজন স্থানীয়ভাবে পূর্বে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় আক্রান্ত হয়েছেন।

আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

গত ২৩ এপ্রিল নওগাঁ জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় একজন নার্সের শরীরে। এখন পর্যন্ত এ জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৮৯ জন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা যাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ইমরান মাসুদ