চারিদিকে লোনাপানির সাগর তবুও পানীয় জলের তীব্র সংকট। ভেঙ্গে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ মহা সাইক্লোন আম্ফানের ৯ দিনেও সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলার শ্যামনগর ও অশাশুনি উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মানুষ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লোনা পানির সাথে লড়াই করে বেঁচে আছে।
একদিকে বসতভিটা ভাটায় জেঁগে উঠলেও জোয়ারের সময় পানিতে তলিয়ে থাকে। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাশ্রমে হাজার উপকূলীয় এলামার মানুষ বাঁধ সংস্কার করলেও তা জোয়ারে ভেঙ্গে যাচ্ছে।
চারিদিকে লোনা পানিতে থৈ-থৈ করছে। যেন পানির সাগর।তবুও একটু খাবার পানির জন্য মাইলের পর মাইল নোকা চালিয়ে মহিলারা ছুটে চলেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপকূলীয় এলাকার গাবুরা, পদ্মপুকুর, কাশিমাড়ী, বুড়িগোলীনি, প্রতাপনগর, খাজরা, শ্রীউলা, আশাশুনী সদরসহ ৮ টি ইউনিয়নের মানুষ আম্ফানের আগে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকলেও এখন ভয়াভয় লোনাপানির সাথে টিকে থাকার মাহাযুদ্ধে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
শ্যামনগরের অবস্থা একটু ভাল হলেও আশাশুনি এলাকার অবস্থা খুব খারাপ। বসতবাড়ি, পুকুর, রাস্তাঘাটা সব লোনা পানিতে থৈ-থৈ করছে। বাঁধ সংস্কার করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখলেও তা জোয়ারে সব ভঙ্গ করে দিচ্ছে।
২৩ টি পয়েন্টে কপোতাক্ষ, ঘোলপেটুয়া, মালঞ্চসহ কয়েকটি নদী সমুদ্রের সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের দু চোঁখের পাতার খুম কেড়ে নিয়েছে। ৫০ টি গ্রামের কয়েক লক্ষ মানুষ টেকসই বাঁধের জন্য হাহাকার করছে।
বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক




















