০৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

করোনা সংক্রামণে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা!!

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড কে করোনা সংক্রামণের উচ্চ ঝুঁকির উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত রোববার (৩১ মে) রাতে উপজেলা প্রশাসন এই বিষয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে দ্রুত করোনা সংক্রমণের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়াা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায়।

এই ঘোষণার ফলে ব্যাংকের সময়সূচির পরিবর্তন ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক সরকারী, বেসরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কার্যক্রম এর সময় পুনঃনির্ধারণ হতে পারে।

তথ্য-উপাত্ত ও পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় করুণা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলাটি।

সীতাকুণ্ডে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আকান্তের সংখ্যা।

প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে সীতাকুণ্ডে। গত ৮ ই এপ্রিল প্রথম নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক ব্যাক্তির করোনা শনাক্তের মধ্য দিয়ে সীতাকুণ্ডে করোনা শনাক্তের যাত্রা শুরু হয়।

গত কাল ৩১ মে চার জন করোনা রোগী শনাক্তের মধ্য দিয়ে সে যাত্রা শতকে পৌঁছেছে ।

সর্বশেষ তথ্য মতে সীতাকুণ্ডে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০০ জন, সুস্থ হয়েছেন ২৬জন, প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে প্রায় দু’হাজার, আইসোলেশনে আছে ৭২ জন।

বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৫ জন। এছাড়া ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে দুজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

এছাড়া কুমিরা হাইওয়ে থানার চার পুলিশ সদস্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় প্রশাসনের উদ্বেগ বেড়েছে কয়েকগুণ।

সীতাকুণ্ডের এক সাংবাদিক ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে এক জন সুস্থ হয়ে বাসায় ছিরেছেন। প্রতি দিন নতুন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে উপজেলায়।

সীতাকুণ্ডে প্রায় শতাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন এই সকল প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছে প্রায় ৪০ হাজারের অধিক শ্রমিক।

সর্বশেষ হাফিজ জুট মিলস্ এর এক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়।

এছাড়া কুমিরায় অবস্থিত পিএইচপি, বানু বাজারে অবস্থিত সিমা স্টিল,বাড়কুণ্ড অবস্থিত বিএম গ্যাস ফ্যাক্টরির বেশ কিছু শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় শ্রমিকরা আতঙ্কে রয়েছে।

প্রতিদিনই এ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও জনগণের মাঝে নেই তেমন সচেতনতা ।

সামাজিক দূরত্বের কথা প্রশাসন বললেও জনগণ সেটাকে উপেক্ষা করে নিজেদের মতো জীবন যাপন করছে।

হাট বাজার থেকে শুরু করে চায়ের দোকান পর্যন্ত চলছে নানা বয়সের মানুষের আড্ডা।

উপজেলা প্রশাসন বলছে সাধারণ মানুষ নিজেদের সচেতনতায় যদি সচেতন না হয় এই পরিস্থিতিকে কখনো মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।

এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে অন্যথায় প্রশাসনের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক

জনপ্রিয়

হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মোঃ ফয়সল

করোনা সংক্রামণে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা!!

প্রকাশিত : ০৬:২৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড কে করোনা সংক্রামণের উচ্চ ঝুঁকির উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত রোববার (৩১ মে) রাতে উপজেলা প্রশাসন এই বিষয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে দ্রুত করোনা সংক্রমণের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়াা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায়।

এই ঘোষণার ফলে ব্যাংকের সময়সূচির পরিবর্তন ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক সরকারী, বেসরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কার্যক্রম এর সময় পুনঃনির্ধারণ হতে পারে।

তথ্য-উপাত্ত ও পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় করুণা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলাটি।

সীতাকুণ্ডে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আকান্তের সংখ্যা।

প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে সীতাকুণ্ডে। গত ৮ ই এপ্রিল প্রথম নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক ব্যাক্তির করোনা শনাক্তের মধ্য দিয়ে সীতাকুণ্ডে করোনা শনাক্তের যাত্রা শুরু হয়।

গত কাল ৩১ মে চার জন করোনা রোগী শনাক্তের মধ্য দিয়ে সে যাত্রা শতকে পৌঁছেছে ।

সর্বশেষ তথ্য মতে সীতাকুণ্ডে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০০ জন, সুস্থ হয়েছেন ২৬জন, প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে প্রায় দু’হাজার, আইসোলেশনে আছে ৭২ জন।

বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৫ জন। এছাড়া ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে দুজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

এছাড়া কুমিরা হাইওয়ে থানার চার পুলিশ সদস্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় প্রশাসনের উদ্বেগ বেড়েছে কয়েকগুণ।

সীতাকুণ্ডের এক সাংবাদিক ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে এক জন সুস্থ হয়ে বাসায় ছিরেছেন। প্রতি দিন নতুন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে উপজেলায়।

সীতাকুণ্ডে প্রায় শতাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন এই সকল প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছে প্রায় ৪০ হাজারের অধিক শ্রমিক।

সর্বশেষ হাফিজ জুট মিলস্ এর এক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়।

এছাড়া কুমিরায় অবস্থিত পিএইচপি, বানু বাজারে অবস্থিত সিমা স্টিল,বাড়কুণ্ড অবস্থিত বিএম গ্যাস ফ্যাক্টরির বেশ কিছু শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় শ্রমিকরা আতঙ্কে রয়েছে।

প্রতিদিনই এ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও জনগণের মাঝে নেই তেমন সচেতনতা ।

সামাজিক দূরত্বের কথা প্রশাসন বললেও জনগণ সেটাকে উপেক্ষা করে নিজেদের মতো জীবন যাপন করছে।

হাট বাজার থেকে শুরু করে চায়ের দোকান পর্যন্ত চলছে নানা বয়সের মানুষের আড্ডা।

উপজেলা প্রশাসন বলছে সাধারণ মানুষ নিজেদের সচেতনতায় যদি সচেতন না হয় এই পরিস্থিতিকে কখনো মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।

এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে অন্যথায় প্রশাসনের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক