করোনাভাইরাস মহামারির ‘ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা’ সাংবাদিকদের ঝুঁকি ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে গঠিত ‘নির্বাচনি জোট’ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম প্রধানের সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান জোটের শীর্ষ নেতারা।
ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেন, ‘সাংবাদিকরা যেহেতু করোনার এই সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, সে কারণে তাদের জন্য যথাযত সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনার এই সময়ে বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে অনেক মিডিয়া হাউজ তার কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করছে। অবিলম্বে ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে, ছাঁটাইকৃতদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং তাদের বেতন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেহেতু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজ করছেন, তাদের জন্য ঝুঁকি বিবেচনায় পর্যাপ্ত ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।’
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘দেশের যেকোনো সংকটের মতো করোনার এই কঠিন সময়েও সাংবাদিকরা তাদের অসাধারণ ভূমিকা এবং দায়িত্ব পালন করছেন। জনগণকে করোনা সম্পর্কে বাস্তব পরিস্থিতি অবহিত করে অতি গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব সাহসিকতার সঙ্গে পালনকালে তারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করেছেন। এর মধ্যেই ছয় জন সংবাদকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৪৪ জন সংবাদকর্মী।’
বিবৃতিদাতারা হলেন— জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া এবং বিকল্প ধারা বাংলাদেশ (একাংশ)-এর চেয়্যারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা বলেন, ‘করোনার এই সময়ে মৃত্যুবরণ করেছেন দেশের টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল সৈয়দ। দীর্ঘ ৬০ বছর তিনি রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারি টেলিভিশনে কাজ করে টিভি অনুষ্ঠানের একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। তার চলে যাওয়ার প্রভাব মিডিয়া দীর্ঘকাল অনুভব করবে।’
মোস্তফা কামাল সৈয়দ, দৈনিক সময়ের আলোর সিটি এডিটর হুমায়ুন কবির খোকন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিনিয়র সাংবাদিক সুমন মাহমুদ, দৈনিক ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আসলাম রহমান, দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র সাব-এডিটর মাহমুদুল হাকিম অপু এবং দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ফটো সাংবাদিক এম মিজানুর রহমান খানের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন তারা।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর


























