০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শনিবার থেকে কক্সবাজার লকডাউন

করোনা সংক্রমণ রোধে কক্সবাজার জেলাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। আগামী শনিবার (৬ জুন) থেকে এসব জোনে দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন কার্যক্রম শুরু হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসার এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

আশরাফুল আফসার বলেন, ‘পুরো কক্সবাজার জেলাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে কক্সবাজার পৌর এলাকায় করোনার সংক্রমণের হার বাড়ায় রেড জোনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া, ৮টি উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার বিবেচনা করে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘জেলায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) এই কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার পর করোনা সংক্রমণ রোধে কার্যক্রম শুরু হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমে রেড জোনগুলোকে দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন করা হবে। যদি সংক্রমণ কমে তাহলে লকডাউন তোলার চিন্তা করা হবে। যদি না কমে তাহলে ওই সব এলাকা লকডাউনের মেয়াদও বাড়ানো হবে। লকডাউনের ক্ষেত্রে রেড জোন এলাকায় শুধু একটি সড়ক চালু থাকবে। বাকি সব সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হবে। যে একটি সড়ক চালু থাকবে তাতে জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এছাড়া, কিছু মুদির দোকান ও ফার্মেসি খোলা থাকবে; বাকি সবকিছু বন্ধ রাখার ব্যবস্থা হবে।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় লাল পতাকা টাঙ্গানো হবে। এরপর এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থান নেবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা চাই, যেন দ্রুত কক্সবাজারে করোনার সংক্রমণ কমে যায়। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

উল্লেখ্য, কক্সবাজার মেডিক‌্যাল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে গত ৬৩ দিনে মোট ৭ হাজার ৩৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে ৯৫৮ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

শনিবার থেকে কক্সবাজার লকডাউন

প্রকাশিত : ০৩:১৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০

করোনা সংক্রমণ রোধে কক্সবাজার জেলাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। আগামী শনিবার (৬ জুন) থেকে এসব জোনে দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন কার্যক্রম শুরু হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসার এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

আশরাফুল আফসার বলেন, ‘পুরো কক্সবাজার জেলাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে কক্সবাজার পৌর এলাকায় করোনার সংক্রমণের হার বাড়ায় রেড জোনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া, ৮টি উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার বিবেচনা করে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘জেলায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) এই কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার পর করোনা সংক্রমণ রোধে কার্যক্রম শুরু হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমে রেড জোনগুলোকে দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন করা হবে। যদি সংক্রমণ কমে তাহলে লকডাউন তোলার চিন্তা করা হবে। যদি না কমে তাহলে ওই সব এলাকা লকডাউনের মেয়াদও বাড়ানো হবে। লকডাউনের ক্ষেত্রে রেড জোন এলাকায় শুধু একটি সড়ক চালু থাকবে। বাকি সব সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হবে। যে একটি সড়ক চালু থাকবে তাতে জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এছাড়া, কিছু মুদির দোকান ও ফার্মেসি খোলা থাকবে; বাকি সবকিছু বন্ধ রাখার ব্যবস্থা হবে।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় লাল পতাকা টাঙ্গানো হবে। এরপর এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থান নেবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা চাই, যেন দ্রুত কক্সবাজারে করোনার সংক্রমণ কমে যায়। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

উল্লেখ্য, কক্সবাজার মেডিক‌্যাল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে গত ৬৩ দিনে মোট ৭ হাজার ৩৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে ৯৫৮ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর