সাতক্ষীরা উপকূলীয় জনপদ আম্ফানের ১৪ দিনেও পানিতে ভাঁসছে। বাঁধ রক্ষায় সেনাবাহিনী ও উপকূলীয়বাসী চেষ্টা চালিয়ে গেলেও সর্বনাশা জোয়ার -ভাটা সব চেষ্টা এক নিমেশেই শেষ করে দিচ্ছে।
২৩ টি পয়েন্টের বাঁধ নির্মাণই ঠিকে থাকতে পারে হাজার বছরের বাদাকাটা বসতি।
আইলা, সিডর, নার্গিস সহ ভয়াবহ ঘূর্নিঝড় মোকাবেলা করে বসবাস করলেও আম্ফানের জলোচ্ছ্বাস তা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।
প্রতাপনগর, শ্রিউলা, বুড়িগোলীনি এখনও পানিতে তলিয়ে।জোয়ার ভাটার সাথে দেখা দিয়েছে ভয়াবয় ভাঙ্গন।
সরেজমিন দেখা গেছে, লোনাপানির তান্ডবে বসতঘরের কোনরকম অস্তিত্ব রয়েছে। নেই রাস্তা ঘাট।
যাতায়াতে নৌকা বা সাঁতার দিয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যেতে হচ্ছে মানুষদের। রাত কাটছে নির্ঘুম।
মাচা করে পরিবার পরিজন নিয়ে লোনাপনিতে বেঁচে থাকার কঠিন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে উপকূলীয়বাসী।
নেই রান্না করার কোন ব্যাবস্থা। শুকনো খাবার খেয়ে গত ১৪ দিন পার করছে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের ছবিরন বিবি( ৪৫)।
কত পরিবার যে এখনও রান্না করা খাবার খেতে পারিনি তাঁর হিসাব পানিবন্ধী মানুষগুলোই জানে।
পানীয় জলের তীব্র সংকট। পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব চরম আকার ধারন করেছে। এক কথায় উপকূলীয়বাসীর বসতি টিকাতে টেকসই বাঁধের বিকল্প নেই।