সারাদেশে দিন দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যাও।

করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ইতোমধ্যে ফটিকছড়ি ২০ শয্যা হাসপাতালকে কোভিড-১৯ হাসপাতালে রুপান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন।

কোভিট-১৯ হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ক্ষেত্রে খরচাদি সম্পন্ন করতে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সাংসদ জানান, ফটিকছড়ির করােনা আক্রান্ত রােগীদের সুচিকিৎসার জন্য আমি এই হাসপাতার করার উদ্যোগ নিয়েছি।

সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফিন সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন।

তাকে সহযােগিতা করবেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হােসাইন মাে: আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো: ইসমাইল হােসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: মাে: ইলিয়াছ চৌধুরী এবং উপজেলা প্রকৌশলী এস.এম. হেদায়েত এই ব্যাপারে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতােমধ্যে সকলকে নির্দেশ দিয়েছি।

এ বিষয়ে ফটিকছড়ির বিত্তবান লােকদের সহযােগিতার জন্য এগিয়ে আসার জন্য আহবানও জানান ১৪ দলীয় জোটের এ নেতা।

ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের আপদকালীন ফান্ডে এবং রুপান্তরিত হাসপাতালের জন্য সর্বপ্রথম ৩ লক্ষ টাকার নগদ চেক প্রদান করেছেন লেলাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার উদ্দীন চৌধুরী শাহীন।

তিনি ইতোমধ্যে নির্ধারিত অঙ্কের চেকটি উপজেলা প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করেছেন। তাছাড়া চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মইন উদ্দীন চৌধুরী ও ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী এই মানবিক কাজে সহযোগিতা করেছেন।

মানবিক কর্মকাণ্ডে অবদান এবং দায়িত্বশীলতার সহিত লেলাংবাসীর কল্যাণে নিবেদিত ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সকল মহলের কাছে তার মহৎ কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসনীত হয়েছেন।

তিনি ফটিকছড়ির মানুষের জন্য এবং স্থানীয় করোনা আক্রান্ত মানুষের সেবা প্রদানের লক্ষে রুপান্তরিত কোভিড-১৯ হাসপাতালের জন্য এধরনরে সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে আরেকটি অর্জন কুঁড়ে নিয়েছে।

যার কর্মকাণ্ডে লেলাং সহ সমগ্র ফটিকছড়ি বাসী সন্তুষ্ট এবং গর্বিত। মানবিক কাজে তাঁর নিঃস্বার্থ সহযোগিতা সকলের জন্য অনুপ্রেরণা ও ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করবে।