০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশে গভীর সামাজিক বৈষম্য

কেউ সংক্রমিত হলে চিকিৎসা করাচ্ছেন দেশসেরা হাসপাতালে, কেউ বা আবার সরকারি হাসপাতালে ঠাঁই না পেয়ে ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে। কেউ সংক্রমিত হলে তাকে হাসপাতালে নিতে একাধিক মানুষ এগিয়ে আসছেন, কেউ আবার নিঃসঙ্গ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছেন। বাংলাদেশের এমন ‘গভীর সামাজিক বৈষম্য’ করোনাকালে প্রকাশ পাচ্ছে বলে মনে করছে বিখ্যাত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

টেলিগ্রাফের এশিয়ান অঞ্চলের লেখক সুসন্নাহ সেভেজ তার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ‘ভঙ্গুর’ বলে মন্তব্য করেছেন।

সামাজিক বৈষম্যকে চিত্রায়ন করতে লেখার শুরুতে তিনি সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন।

‘বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে বহনকারী হেলিকপ্টার ঢাকায় নামতেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ছোট একটা জটলা লেগে যায়। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এই সদস্যকে তড়িঘড়ি করে নেয়া হয় বাংলাদেশের প্রিমিয়ার স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার হাসপাতাল সিএমএইচে।’

‘করোনায় আক্রান্ত হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে পারছেন। এর ঠিক কয়েক মাইল দূরে অনেক হতভাগ্য ভুক্তভোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকছেন। ’বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার সমালোচনা করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘১৭০ মিলিয়ন মানুষের এই ঘনবসতির দেশটির ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখন ফুটে উঠছে।’

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা এমিনেন্সের সিইও ড. শামীম তালুকদারকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা রোগী শনাক্ত করতে যে হারে দেশটিতে টেস্ট হচ্ছে সেটি ‘খুব কম’।

ঢাকার বাইরের শনাক্তকরণ মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে শামীম তালুকদার বলেন, ‘আমাদের সঠিক প্রশিক্ষণ নেই। প্রচুর ফলস নেগেটিভ আসছে।’

নতুন এই রোগটিতে সরকার মৃতদের যে সংখ্যা প্রকাশ করছে তার চেয়ে প্রকৃতপক্ষে বেশি মানুষ মারা যেতে পারে বলেও প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে। ঢাকার আজিমপুরসহ কয়েকটি কবরস্থানের কেয়ারটেকারদের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্রিটেনের প্রভাবশালী এই সংবাদমাধ্যমটির দাবি, প্রতিদিন সেখানে সাধারণ সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ মানুষকে দাফন করা হচ্ছে!

বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বাংলাদেশে গভীর সামাজিক বৈষম্য

প্রকাশিত : ০৯:২৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০

কেউ সংক্রমিত হলে চিকিৎসা করাচ্ছেন দেশসেরা হাসপাতালে, কেউ বা আবার সরকারি হাসপাতালে ঠাঁই না পেয়ে ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে। কেউ সংক্রমিত হলে তাকে হাসপাতালে নিতে একাধিক মানুষ এগিয়ে আসছেন, কেউ আবার নিঃসঙ্গ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছেন। বাংলাদেশের এমন ‘গভীর সামাজিক বৈষম্য’ করোনাকালে প্রকাশ পাচ্ছে বলে মনে করছে বিখ্যাত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

টেলিগ্রাফের এশিয়ান অঞ্চলের লেখক সুসন্নাহ সেভেজ তার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ‘ভঙ্গুর’ বলে মন্তব্য করেছেন।

সামাজিক বৈষম্যকে চিত্রায়ন করতে লেখার শুরুতে তিনি সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন।

‘বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে বহনকারী হেলিকপ্টার ঢাকায় নামতেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ছোট একটা জটলা লেগে যায়। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এই সদস্যকে তড়িঘড়ি করে নেয়া হয় বাংলাদেশের প্রিমিয়ার স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার হাসপাতাল সিএমএইচে।’

‘করোনায় আক্রান্ত হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে পারছেন। এর ঠিক কয়েক মাইল দূরে অনেক হতভাগ্য ভুক্তভোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকছেন। ’বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার সমালোচনা করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘১৭০ মিলিয়ন মানুষের এই ঘনবসতির দেশটির ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখন ফুটে উঠছে।’

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা এমিনেন্সের সিইও ড. শামীম তালুকদারকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা রোগী শনাক্ত করতে যে হারে দেশটিতে টেস্ট হচ্ছে সেটি ‘খুব কম’।

ঢাকার বাইরের শনাক্তকরণ মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে শামীম তালুকদার বলেন, ‘আমাদের সঠিক প্রশিক্ষণ নেই। প্রচুর ফলস নেগেটিভ আসছে।’

নতুন এই রোগটিতে সরকার মৃতদের যে সংখ্যা প্রকাশ করছে তার চেয়ে প্রকৃতপক্ষে বেশি মানুষ মারা যেতে পারে বলেও প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে। ঢাকার আজিমপুরসহ কয়েকটি কবরস্থানের কেয়ারটেকারদের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্রিটেনের প্রভাবশালী এই সংবাদমাধ্যমটির দাবি, প্রতিদিন সেখানে সাধারণ সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ মানুষকে দাফন করা হচ্ছে!

বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর