০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘আমি কোথায়, মাশরাফি-সাকিব ভাই কোথায়!’

মাশরাফি-সাকিব মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন

তার মাঝে অনেকেই মাশরাফি বিন মর্তুজা আর সাকিব আল হাসানের ছায়া খুঁজে বেড়ান। তাকে দেখে কারো কারো মাশরাফির প্রথম জীবনের কথা মনে পড়ে যায়। কারণ প্রচন্ড গতিতে বল হাতে আগুন ঝরানোর পাশাপাশি ঝড়ো ব্যাটিংটাও করতে পারতেন চিত্রাপাড়ে বড় হওয়া মাশরাফি।

পরবর্তীতে অবশ্য ইনজুরি আর বারবার অপারেশনের ধকল সামলে আর ব্যাটিংয়ে ওমন মনোযোগী হওয়া সম্ভব হয়নি। তাই মাশরাফির ব্যাটের আসল তেজটা দিনকে দিন কমেই গেছে।

কিন্তু আসল সত্য হলো, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ফাস্টবোলিংয়ের সঙ্গে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংটাও খুব ভালো পারতেন মাশরাফি। একই কাজে দক্ষ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাশরাফি ১৮ থেকে ২৪-২৫ বছর পর্যন্ত যত জোরে বল করতেন, সাইফউদ্দিন এখন ঠিক তত জোরে বোলিং করেন না। তবে তারও গতি একদম মন্দ না। গড়পড়তা ১৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করেন। সঙ্গে ব্যাটিংটাও ভালো। তারও আছে বিগ হিট নেয়ার ক্ষমতা।

তাই তার সাথে যৌবনের মাশরাফির মিল খুঁজে পান কেউ কেউ। আবার কারো চোখে তিনি ভবিষ্যতের সাকিব আল হাসান। একজন সত্যিকার ও আদর্শ অলরাউন্ডারের প্রতিমূর্তি। যার ব্যাট ও বল-দুটোই সমান কার্যকর।

এখন পর্যন্ত ট্র্যাক রেকর্ডও মন্দ না। কিন্তু যাকে মাশরাফি আর সাকিবের সাথে তুলনা করা হয়, সে সাইফউদ্দিন নিজে কি ভাবেন? অবচেতন মনে কি নিজেকে ভবিষ্যতের মাশরাফি বা সাকিব মনে হয়?

ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের সাথে ইউটিউব লাইভে সে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে সাইফউদ্দিন স্বীকার করেন, প্রশংসা শুনতে যে কারো মতো তারও ভালো লাগে। মনে পুলক জাগে। কিন্তু তিনি এখন আসলে ওসব গায়ে মাখতে নারাজ। তার ভাষায়, ‘আমি আসলে ওভাবে আমলে নেই না।’

মাশরাফি-সাকিবের সঙ্গে নিজেকে তুলনায় আনার যোগ্যই মনে করেন না সাইফউদ্দিন। বিনয়ী কন্ঠে বলেন, ‘মাশরাফি আর সাকিব ভাই দুজন গ্রেট খেলোয়াড়। খুব বড় পারফরমার। বংলাদেশের জার্সি গায়ে দু’শোর ওপরে ওয়ানডে খেলেছেন। হাজার হাজার রান ও শ’ শ’ উইকেট। জাতীয় দলের পক্ষে তাদের অবদান বিশাল। আর আমি কোথায়?’

‘এখনই উনাদের সাথে তুলনা করাটা ঠিক না। আমি ওভাবে চিন্তাও করি না। অত বড় মাপের ক্রিকেটারদের সাথে নিজের তুলনায় যাবার প্রশ্নই আসে না। সেখানে আমি বলার মত কিছুই করতে পারিনি। সবে ক্যারিয়ার শুরু করেছি। একদম প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’

তবে মাশরাফির মুখে নিজের প্রশংসা শুনে খুব ভালো লেগেছিল তার। সেটা গত বছর ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলতে যাবার আগে এক টিভি সাক্ষাতকারে। সাইফউদ্দিন বলেন, ‘মাশরাফি ভাই বলেছিলেন- সাইফউদ্দিন বাংলাদেশের অনেক বড় সম্পদ। লম্বা রেসের ঘোড়া। অনেক দিন খেলবে। ১০ থেকে ১২ বছর সার্ভিস দিবে জাতীয় দলকে। সেটা শুনে খুব ভালো লেগেছিল। অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। ক্যাপ্টেন ও লিজেন্ডের মুখ এমন প্রশংসা ছিল অনেক বড় অনুপ্রেরণা।’

সাইফউদ্দিনের শেষ কথা, ‘আসলে উনারা দুজন কিংবদন্তি। তাদের সাথে তুলনা বা তাদের মত হওয়া নিয়ে এখনই কথা বলতে চাই না। তাদের কৃতিত্ব, অর্জন প্রচুর। তাদের প্রাপ্তির ভান্ডার ভরা। মাশরাফি ভাইয়ের নামে পাশে কত উইকেট। সাকিব ভাইয়ের কীর্তির শেষ নেই। টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি, ওয়ানডে সেঞ্চুরি, গন্ডায় গন্ডায় ৪-৫ উইকেট শিকার। আমি সেখানে শূন্যতে দাঁড়িয়ে।’

‘তবে চেষ্টা থাকবে বড় কিছু হওয়ার। বিশ্বাস করি, লক্ষ্য যদি বড় থাকে, তাহলে সামনে আগানো যায়। আমিও স্বপ্ন দেখি সাকিব ভাই আর মাশরাফি ভাইয়ের কাছাকাছি যাব। এখন আমার পরিশ্রম, চেষ্টা, দৃঢ়তা আমাকে কতদূর নিয়ে যেতে পারবে, তা দেখার অপেক্ষায় আছি’-যোগ করেন সাইফউদ্দিন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

‘আমি কোথায়, মাশরাফি-সাকিব ভাই কোথায়!’

প্রকাশিত : ০৩:১৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০

তার মাঝে অনেকেই মাশরাফি বিন মর্তুজা আর সাকিব আল হাসানের ছায়া খুঁজে বেড়ান। তাকে দেখে কারো কারো মাশরাফির প্রথম জীবনের কথা মনে পড়ে যায়। কারণ প্রচন্ড গতিতে বল হাতে আগুন ঝরানোর পাশাপাশি ঝড়ো ব্যাটিংটাও করতে পারতেন চিত্রাপাড়ে বড় হওয়া মাশরাফি।

পরবর্তীতে অবশ্য ইনজুরি আর বারবার অপারেশনের ধকল সামলে আর ব্যাটিংয়ে ওমন মনোযোগী হওয়া সম্ভব হয়নি। তাই মাশরাফির ব্যাটের আসল তেজটা দিনকে দিন কমেই গেছে।

কিন্তু আসল সত্য হলো, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ফাস্টবোলিংয়ের সঙ্গে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংটাও খুব ভালো পারতেন মাশরাফি। একই কাজে দক্ষ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাশরাফি ১৮ থেকে ২৪-২৫ বছর পর্যন্ত যত জোরে বল করতেন, সাইফউদ্দিন এখন ঠিক তত জোরে বোলিং করেন না। তবে তারও গতি একদম মন্দ না। গড়পড়তা ১৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করেন। সঙ্গে ব্যাটিংটাও ভালো। তারও আছে বিগ হিট নেয়ার ক্ষমতা।

তাই তার সাথে যৌবনের মাশরাফির মিল খুঁজে পান কেউ কেউ। আবার কারো চোখে তিনি ভবিষ্যতের সাকিব আল হাসান। একজন সত্যিকার ও আদর্শ অলরাউন্ডারের প্রতিমূর্তি। যার ব্যাট ও বল-দুটোই সমান কার্যকর।

এখন পর্যন্ত ট্র্যাক রেকর্ডও মন্দ না। কিন্তু যাকে মাশরাফি আর সাকিবের সাথে তুলনা করা হয়, সে সাইফউদ্দিন নিজে কি ভাবেন? অবচেতন মনে কি নিজেকে ভবিষ্যতের মাশরাফি বা সাকিব মনে হয়?

ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের সাথে ইউটিউব লাইভে সে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে সাইফউদ্দিন স্বীকার করেন, প্রশংসা শুনতে যে কারো মতো তারও ভালো লাগে। মনে পুলক জাগে। কিন্তু তিনি এখন আসলে ওসব গায়ে মাখতে নারাজ। তার ভাষায়, ‘আমি আসলে ওভাবে আমলে নেই না।’

মাশরাফি-সাকিবের সঙ্গে নিজেকে তুলনায় আনার যোগ্যই মনে করেন না সাইফউদ্দিন। বিনয়ী কন্ঠে বলেন, ‘মাশরাফি আর সাকিব ভাই দুজন গ্রেট খেলোয়াড়। খুব বড় পারফরমার। বংলাদেশের জার্সি গায়ে দু’শোর ওপরে ওয়ানডে খেলেছেন। হাজার হাজার রান ও শ’ শ’ উইকেট। জাতীয় দলের পক্ষে তাদের অবদান বিশাল। আর আমি কোথায়?’

‘এখনই উনাদের সাথে তুলনা করাটা ঠিক না। আমি ওভাবে চিন্তাও করি না। অত বড় মাপের ক্রিকেটারদের সাথে নিজের তুলনায় যাবার প্রশ্নই আসে না। সেখানে আমি বলার মত কিছুই করতে পারিনি। সবে ক্যারিয়ার শুরু করেছি। একদম প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’

তবে মাশরাফির মুখে নিজের প্রশংসা শুনে খুব ভালো লেগেছিল তার। সেটা গত বছর ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলতে যাবার আগে এক টিভি সাক্ষাতকারে। সাইফউদ্দিন বলেন, ‘মাশরাফি ভাই বলেছিলেন- সাইফউদ্দিন বাংলাদেশের অনেক বড় সম্পদ। লম্বা রেসের ঘোড়া। অনেক দিন খেলবে। ১০ থেকে ১২ বছর সার্ভিস দিবে জাতীয় দলকে। সেটা শুনে খুব ভালো লেগেছিল। অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। ক্যাপ্টেন ও লিজেন্ডের মুখ এমন প্রশংসা ছিল অনেক বড় অনুপ্রেরণা।’

সাইফউদ্দিনের শেষ কথা, ‘আসলে উনারা দুজন কিংবদন্তি। তাদের সাথে তুলনা বা তাদের মত হওয়া নিয়ে এখনই কথা বলতে চাই না। তাদের কৃতিত্ব, অর্জন প্রচুর। তাদের প্রাপ্তির ভান্ডার ভরা। মাশরাফি ভাইয়ের নামে পাশে কত উইকেট। সাকিব ভাইয়ের কীর্তির শেষ নেই। টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি, ওয়ানডে সেঞ্চুরি, গন্ডায় গন্ডায় ৪-৫ উইকেট শিকার। আমি সেখানে শূন্যতে দাঁড়িয়ে।’

‘তবে চেষ্টা থাকবে বড় কিছু হওয়ার। বিশ্বাস করি, লক্ষ্য যদি বড় থাকে, তাহলে সামনে আগানো যায়। আমিও স্বপ্ন দেখি সাকিব ভাই আর মাশরাফি ভাইয়ের কাছাকাছি যাব। এখন আমার পরিশ্রম, চেষ্টা, দৃঢ়তা আমাকে কতদূর নিয়ে যেতে পারবে, তা দেখার অপেক্ষায় আছি’-যোগ করেন সাইফউদ্দিন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার