নীতিমালার কারণে প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের প্রান্তিক খামারিরা। করোনা বিপর্যয় থেকে কৃষি খাতকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ডেইরি শিল্পের জন্য উপ-বরাদ্দ রয়েছে ১ হাজার ১’শ কোটি টাকা।
ছোট খামারিদের অভিযোগ, নীতিমালা শিথিল বা পরিবর্তন করা না হলে ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন তারা। খামারিদের শর্ত শিথিলের দাবির সঙ্গে একমত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও। মহামারি করোনায় কঠিন সংকটের মুখে উত্তরাঞ্চলের খামারিরা।
একদিকে চাহিদার পাশাপাশি কমেছে দুধের দাম। আরেকদিকে পশু খাদ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা করে তুলেছে এ অঞ্চলের খামারিদের। করোনাকালীন বিপর্যয় থেকে পুরো কৃষি খাতকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল খামারিদের মনে।
মোট বরাদ্দের মধ্যে ডেইরি শিল্পের জন্য রয়েছে এক হাজার ১শ’ কোটি টাকা। কিন্তু নীতিমালার কারণে সেই স্বস্তি উবে গেছে কর্পুরের মতো।
খামারিরা বলছেন, খামারি যদি পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণ নেয় তাহলে ৩০ হাজার টাকার উপর মাসিক কিস্তি দিতে হয়। তাহলে খামারিরা দুধ বিক্রি করবে কি? আর কিস্তি দিবে কি? আপদকালীন ঋণ দেওয়ার জন্য দীর্ঘ মেয়াদি করা উচিৎ।
পশুখাদ্য ক্রয় ও শ্রমিক মজুরির জন্য ‘চলতি মূলধন’ হিসাবে ঋণ বিতরণের নির্দেশনা থাকায় নিজেরা খাদ্য তৈরি করে পশুদের খাওয়ান, এমন ছোট ছোট খামারিরা বাদ পড়ার আশঙ্কায় রাস্তায় নেমেছেন।
খামারিরা আরো বলছেন, এক লিটার দুধ উৎপাদন করতে ৩৫ টাকা খরচ করতে হয়। তা ছাড়া ভুষি ছিল ৯’শ টাকা তার দাম হয়েছে ১৫’শ টাকা। দুধ মানুষ নেই ফেলে দিতে হয়। সরকার প্রণোদনা দিয়েছে কিন্তু বিভিন্ন অফিসারের জন্য আমরা তা পাচ্ছি না। খামারিদের শর্ত শিথিলের দাবির সঙ্গে একমত প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা।
বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর উপপরিচালক ডা. মো. হাবিবুল হক মুঠোফোনে বলেন, প্রান্তিক খামারিদের দেওয়া হয়। এটা কিন্তু তাদের দাবি। প্রণোদনা এবং ঋণের যে শর্ত তা শিথিল করা হোক।
ঋণের বিপরীতে মর্ডগেজ এবং ১৮ মাসে ঋণ পরিশোধের শর্ত শিথিল করা না হলে কেবল বড় খামারিরাই এই সুবিধা পাবেন। আর ছোট খামারিরা হবেন বঞ্চিত, এ কথাও স্বীকার করছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।