০৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

দক্ষিণাঞ্চল থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস

দক্ষিণাঞ্চল তথা পটুয়াখালী অঞ্চল থেকে দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস। এক সময় শীত মৌসুম এলেই গ্রামের পর গ্রামে দেখা মিলত গাছিদের চিরচেনা রূপ কাঁধে দা, কোমরে দড়ি, ভোরের কুয়াশা ভেদ করে খেজুর গাছে ওঠার দৃশ্য ছিল নিত্যদিনের চিত্র। প্রতিদিন ভোর হলেই খাঁটি খেজুরের রস সংগ্রহে মানুষের ভিড় দেখা যেত গ্রামবাংলায়।

কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে আজ সেই দৃশ্য প্রায় বিলুপ্ত। খেজুরের রস নামানো তো দূরের কথা, দক্ষিণাঞ্চলের বহু এলাকা থেকেই হারিয়ে যেতে বসেছে এই ঐতিহ্যবাহী খাদ্য উপাদান। গাছি সংকট, খেজুর গাছ কেটে ফেলা, আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা এবং আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই।

এক সময় প্রতি বছর শীত মৌসুম এলেই গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে মা-বোনদের ব্যস্ততা দেখা যেত রসের পিঠা, পায়েস, চিতই, ভাপা পিঠাসহ নানা ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরিতে। খেজুরের রস ঘিরে ছিল উৎসবের আমেজ, আত্মীয়-স্বজনের আপ্যায়ন আর গ্রামীণ সংস্কৃতির এক অনন্য প্রকাশ। কিন্তু আজ সেই দিনগুলো যেন শুধুই স্মৃতিতে বন্দি।

স্থানীয়রা বলছেন, ঐতিহ্য সংরক্ষণে উদ্যোগ না নিলে অচিরেই খেজুরের রস শুধু বইয়ের পাতাতেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ টিকিয়ে রাখতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে আগ্রহী করে তোলার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

দক্ষিণাঞ্চল থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস

প্রকাশিত : ০৪:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

দক্ষিণাঞ্চল তথা পটুয়াখালী অঞ্চল থেকে দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস। এক সময় শীত মৌসুম এলেই গ্রামের পর গ্রামে দেখা মিলত গাছিদের চিরচেনা রূপ কাঁধে দা, কোমরে দড়ি, ভোরের কুয়াশা ভেদ করে খেজুর গাছে ওঠার দৃশ্য ছিল নিত্যদিনের চিত্র। প্রতিদিন ভোর হলেই খাঁটি খেজুরের রস সংগ্রহে মানুষের ভিড় দেখা যেত গ্রামবাংলায়।

কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে আজ সেই দৃশ্য প্রায় বিলুপ্ত। খেজুরের রস নামানো তো দূরের কথা, দক্ষিণাঞ্চলের বহু এলাকা থেকেই হারিয়ে যেতে বসেছে এই ঐতিহ্যবাহী খাদ্য উপাদান। গাছি সংকট, খেজুর গাছ কেটে ফেলা, আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা এবং আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই।

এক সময় প্রতি বছর শীত মৌসুম এলেই গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে মা-বোনদের ব্যস্ততা দেখা যেত রসের পিঠা, পায়েস, চিতই, ভাপা পিঠাসহ নানা ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরিতে। খেজুরের রস ঘিরে ছিল উৎসবের আমেজ, আত্মীয়-স্বজনের আপ্যায়ন আর গ্রামীণ সংস্কৃতির এক অনন্য প্রকাশ। কিন্তু আজ সেই দিনগুলো যেন শুধুই স্মৃতিতে বন্দি।

স্থানীয়রা বলছেন, ঐতিহ্য সংরক্ষণে উদ্যোগ না নিলে অচিরেই খেজুরের রস শুধু বইয়ের পাতাতেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ টিকিয়ে রাখতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে আগ্রহী করে তোলার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

ডিএস./