কোভিড-১৯ সঙ্কটের মধ্যে তিন মাসের বেশি সময় আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখার পর ঢাকা-লন্ডন ফ্লাইট চালানো শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ উল আহসান বলেন, রোববার বেলা ১২টা ২০ মিনিটে ১৮৭ জন যাত্রী নিয়ে বিমানের ফ্লাইট বিজি ০০১ লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বিমানের জনসংযোগ শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, তাদের বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের এয়ারক্রাফট ‘গাঙচিল’ যাত্রী নিয়ে লন্ডনে গেছে।
করোনাভাইরাস মহামারীতে তিন মাস ব্ন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ থেকে শুধু যুক্তরাজ্য ও কাতারে নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। পরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সকেও বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
গত ১৬ জুন প্রথম ফ্লাইটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ দোহা থেকে ঢাকা এসে আবার ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে কাতারে ফিরে যায়। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ১৬ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্য সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল হয় এমন ১৭টি দেশের মধ্যে এখন কেবল চীনের সঙ্গেই প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট চালু রাখা হয় সীমিত পরিসরে।
কয়েক ধাপে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে যাত্রীবাহী বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর পর ১ জুন থেকে দেশের ভেতরে তিনটি রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়। তবে আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচলে ১৫ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থাকে।
এখন আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল শুরু হলেও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনেই কাজ চালাতে হবে এয়ারলাইন্সগুলোকে।
বেবিচক বলেছে, ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে সব এয়ারলাইন্স ও যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব ও পরিচ্ছন্নতার বিধি মেনে চলতে হবে। এয়ারক্রাফটের ধারণক্ষমতার ৭৫ শতাংশের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। যাত্রীদের বসার ক্ষেত্রে দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস দিতে হবে। আসা যাওয়ার আগে এয়ারক্রাফট ‘স্যানিটাইজ’ করতে হবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর