০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

স্বাধীনতার চল্লিশ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনী

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের চৌহুদ্দি রাস্তাটির বেহাল দশা! দেখার কেউ নেই।
বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন। তথাপি অনুন্নয়ন আস্তা কুঁড়ে পরিণত হয়ে আছে কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চৌহুদ্দী গ্রামটি। চোখ মেললেই দেখা যায় রাস্তার বেহাল দশা, দেখার কেউ নেই। এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

অধিক জনসংখ্যার এই দীর্ঘতম গ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা প্রায় ১২ ফুট বিশিষ্ট প্রাচীনতম মেঠো পথটি এখনো মেঠো পথই রয়ে গেল। স্বাধীনতার চল্লিশ বছরেও লাগেনী আধুনিকতার ছোঁয়া।
বর্ষার মৌসুমে মানুষের চলাচলের জন্য কোন প্রকার যানবাহনতো দূরের কথা হেঁটে পথ চলার উপায় টুকুও নেই ওই গ্রামে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া আাসা, রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া আসা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী কেনাকাটার জন্য বাজারে যাওয়া আসা এক চরম ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে চৌহুদ্দী গ্রামের অনেকেই বলেন, কুলিয়ারচর উপজেলা নয় বাংলাদেশের কোনো গ্রামের রাস্তা এরকম আছে কিনা আমাদের জানা নেই। কেননা রিকসা, অটোরিকসা, বাইসাইকেলতো দূরের কথা মানুষের পায়ে হেঁটে যাওয়াই কষ্টকর। এ রাস্তা দিয়ে হাঁটলে দেড় ফুট পা মাটির নিচে চলে যায়। আমাদের গ্রামের একমাত্র রাস্তা এটি যা চলাচলের জন্য খুবই কষ্টকর।

তারা আরো বলেন, আমরা কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়ের ৯ নং ওয়ার্ডে প্রায় চার হাজার লোক বসবাস করে। কুলিয়ারচর বাজার যাওয়ার এক মাত্র রাস্তা হলো এটি। উক্ত রাস্তা দিয়ে বড়খারচর, উছমানপুর, একরামপুর, বড়াডুল, রায়েরচর, কাপাশাটিয়া সহ কুলিয়ারচরের বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের কৃষকদের হাজার হাজার মন ধান উক্ত রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে হয়। ফলে উক্ত রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে যাওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান এ রাস্তা পাকা করন করে দিবে বলে আশ্বাস দিয়ে ছিলেন। ক্ষতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারও বলেছিলেন রাস্তাটি মেরামত সহ পাকাকরন করে দিবেন। কিন্তু কাজের বেলায় কিছুই হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে স্থানীয় এলাকাবাসীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে উক্ত রাস্তাটি পাকা করণে স্থানীয় ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

বিজনেস বাংলাদেশ/ইমরান

জনপ্রিয়

স্বাধীনতার চল্লিশ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনী

প্রকাশিত : ০৩:২১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের চৌহুদ্দি রাস্তাটির বেহাল দশা! দেখার কেউ নেই।
বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন। তথাপি অনুন্নয়ন আস্তা কুঁড়ে পরিণত হয়ে আছে কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চৌহুদ্দী গ্রামটি। চোখ মেললেই দেখা যায় রাস্তার বেহাল দশা, দেখার কেউ নেই। এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

অধিক জনসংখ্যার এই দীর্ঘতম গ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা প্রায় ১২ ফুট বিশিষ্ট প্রাচীনতম মেঠো পথটি এখনো মেঠো পথই রয়ে গেল। স্বাধীনতার চল্লিশ বছরেও লাগেনী আধুনিকতার ছোঁয়া।
বর্ষার মৌসুমে মানুষের চলাচলের জন্য কোন প্রকার যানবাহনতো দূরের কথা হেঁটে পথ চলার উপায় টুকুও নেই ওই গ্রামে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া আাসা, রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া আসা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী কেনাকাটার জন্য বাজারে যাওয়া আসা এক চরম ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে চৌহুদ্দী গ্রামের অনেকেই বলেন, কুলিয়ারচর উপজেলা নয় বাংলাদেশের কোনো গ্রামের রাস্তা এরকম আছে কিনা আমাদের জানা নেই। কেননা রিকসা, অটোরিকসা, বাইসাইকেলতো দূরের কথা মানুষের পায়ে হেঁটে যাওয়াই কষ্টকর। এ রাস্তা দিয়ে হাঁটলে দেড় ফুট পা মাটির নিচে চলে যায়। আমাদের গ্রামের একমাত্র রাস্তা এটি যা চলাচলের জন্য খুবই কষ্টকর।

তারা আরো বলেন, আমরা কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়ের ৯ নং ওয়ার্ডে প্রায় চার হাজার লোক বসবাস করে। কুলিয়ারচর বাজার যাওয়ার এক মাত্র রাস্তা হলো এটি। উক্ত রাস্তা দিয়ে বড়খারচর, উছমানপুর, একরামপুর, বড়াডুল, রায়েরচর, কাপাশাটিয়া সহ কুলিয়ারচরের বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের কৃষকদের হাজার হাজার মন ধান উক্ত রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে হয়। ফলে উক্ত রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে যাওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান এ রাস্তা পাকা করন করে দিবে বলে আশ্বাস দিয়ে ছিলেন। ক্ষতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারও বলেছিলেন রাস্তাটি মেরামত সহ পাকাকরন করে দিবেন। কিন্তু কাজের বেলায় কিছুই হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে স্থানীয় এলাকাবাসীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে উক্ত রাস্তাটি পাকা করণে স্থানীয় ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

বিজনেস বাংলাদেশ/ইমরান