০২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

দেশে করোনা চিকিৎসায় ‘প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার’ উদ্বোধন

প্লাজমা থেরাপি। ফাইল ছবি

দেশে করোনা চিকিৎসায় উদ্বোধন করা হয়েছে ‘প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার’। করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপিতে আশানুরূপ ফল পাওয়ায় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) এটি স্থাপনের উদ্যোগে নেয়।

শনিবার দুপুরে গুলশান-২ এ অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নগর ভবনে এই প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি। এই প্লাজমা সেন্টার স্থাপনে রয়েছে গাজী গ্রুপ, ডিএনসিসি, শেখ হাসিনা প্লাস্টিক সার্জারি ও বার্ন ইন্সটিটিউট, স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন, সবাই মিলে সবার ঢাকা, ওলয়েল ডট কম।

এ সময় বিজেসি ট্রাস্টের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের এখনও কোনো কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা আবিষ্কার হয়নি। তাই করোনা চিকিৎসায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে ‘প্লাজমা থেরাপি’ প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, দেশে এরইমধ্যে প্লাজমা থেরাপি শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে এতে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে এবং জীবন রক্ষা পাচ্ছে। তাই এখন জীবন রক্ষায় যারা প্লাজমা দিতে চান ও পেতে চান, এই দুইয়ের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করতে উদ্বোধন করা হয়েছে প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার।

তিনি আরো বলেন, একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা পরিচালিত কল সেন্টারের মাধ্যমে প্লাজমা চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হবে। এই প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের হটলাইন নম্বর ০১৮৪১১৮৮২৪-২৫।

এদিকে গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য এখনো বিশ্বে কোনো প্রমাণিত ওষুধ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হিসেবে প্লাজমা থেরাপির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যাদের প্লাজমা প্রয়োজন তারা এখানে যোগাযোগ করতে পারবেন। আবার যদি কেউ কোভিড-১৯ মুক্ত হওয়ার পর প্লাজমা দিতে চায়, তবে সেটাও দেয়া সম্ভব হবে।

গাজী গোলাম মর্তুজা বলেন আরো বলেন, আসলে আমরা একে অপরকে সাহায্য করে এই কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। আমরা মনে করি, সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে পারলে পরিস্থিতি উত্তরণে সহায়ক হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

দেশে করোনা চিকিৎসায় ‘প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার’ উদ্বোধন

প্রকাশিত : ০৪:১৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

দেশে করোনা চিকিৎসায় উদ্বোধন করা হয়েছে ‘প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার’। করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপিতে আশানুরূপ ফল পাওয়ায় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) এটি স্থাপনের উদ্যোগে নেয়।

শনিবার দুপুরে গুলশান-২ এ অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নগর ভবনে এই প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি। এই প্লাজমা সেন্টার স্থাপনে রয়েছে গাজী গ্রুপ, ডিএনসিসি, শেখ হাসিনা প্লাস্টিক সার্জারি ও বার্ন ইন্সটিটিউট, স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন, সবাই মিলে সবার ঢাকা, ওলয়েল ডট কম।

এ সময় বিজেসি ট্রাস্টের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের এখনও কোনো কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা আবিষ্কার হয়নি। তাই করোনা চিকিৎসায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে ‘প্লাজমা থেরাপি’ প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, দেশে এরইমধ্যে প্লাজমা থেরাপি শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে এতে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে এবং জীবন রক্ষা পাচ্ছে। তাই এখন জীবন রক্ষায় যারা প্লাজমা দিতে চান ও পেতে চান, এই দুইয়ের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করতে উদ্বোধন করা হয়েছে প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টার।

তিনি আরো বলেন, একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা পরিচালিত কল সেন্টারের মাধ্যমে প্লাজমা চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হবে। এই প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের হটলাইন নম্বর ০১৮৪১১৮৮২৪-২৫।

এদিকে গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য এখনো বিশ্বে কোনো প্রমাণিত ওষুধ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হিসেবে প্লাজমা থেরাপির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যাদের প্লাজমা প্রয়োজন তারা এখানে যোগাযোগ করতে পারবেন। আবার যদি কেউ কোভিড-১৯ মুক্ত হওয়ার পর প্লাজমা দিতে চায়, তবে সেটাও দেয়া সম্ভব হবে।

গাজী গোলাম মর্তুজা বলেন আরো বলেন, আসলে আমরা একে অপরকে সাহায্য করে এই কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। আমরা মনে করি, সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে পারলে পরিস্থিতি উত্তরণে সহায়ক হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর