১০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

অনুদান পেল রোজিনার ‘ফিরে দেখা’সহ ১৬ চলচ্চিত্র

সরকারি অনুদান পেল রওশন আরা রোজিনার ‘ফিরে দেখা’ সহ ১৬ চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ দিতে প্রতি বছর অনুদান দেয় সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিতে ৭৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হবে। আগে এ অনুদানের পরিমাণ ছিল ৬০ লাখ টাকা।

শনিবার, ২৭ জুন তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাগুলোর তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে বলা হয়, ২০১৯-২০ বছরে অনুদানপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য ১৬টি চলচ্চিত্রের তালিকায় রয়েছে:

সাধারণ শাখায় প্রদীপ ঘোষের ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’, ইস্পাহানি আরিফ জাহানের ‘হৃদিতা’, ফজলুল কবীর তুহিনের ‘গাঙকুমারী’, মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, সন্তোষ কুমার বিশ্বাসের ‘ছায়াবৃক্ষ’, বদরুল আনাম সৌদের ‘শ্যামা কাব্য’ ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘আশীর্বাদ’।

এছাড়াও রয়েছে, ইফতেখার শুভর ‘লেখক’ ও মনজুরুল ইসলামের ‘বিলডাকিনী’। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় রয়েছে অনম বিশ্বাসের ‘ফুটবল ৭১’, পংকজ পালিতের ‘একটি না বলা গল্প’ ও এসএ হক অলিকের ‘যোদ্ধা’।

শিশুতোষ শাখায় রয়েছে আওয়াল রেজার ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ও নূরে আলম ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’।

একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবেই বেশি পরিচিত ও জনপ্রিয় রোজিনা। এখন আর অভিনয়ে নেই তিনি। টিভি নাটক পরিচালনায় অভিজ্ঞতা আছে তার। তার পরিচালিত নাটকগুলোর বেশিরভাগই ছিল সাহিত্যনির্ভর। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার ছবি নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন এ অভিনেত্রী। তার পরিচালিত প্রথম ছবিটিই পেল সরকারি অনুদান।

গ্রামীণ বা শহুরে নারীর চরিত্র কিংবা সামাজিক অ্যাকশন, সব ধরনের ছবিতেই তিনি সাবলীলভাবে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। রোজিনা অভিনীত কিছু উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘সাহেব’, ‘তাসের ঘর’, ‘হিসাব চাই’, ‘বন্ধু আমার’, ‘কসাই’, ‘জীবনধারা’, ‘মানসী’, ‘দোলনা’, ‘দিনকাল’, ‘রসের বাইদানী’, ‘জীবনধারা’, ‘রূপবান’, ‘হামসে হ্যায় জামানা’। তাঁর অভিনয় করা ছবি প্রায় দুই শতাধিক। আমজাদ হোসেনের ‘কসাই’ আর মতিন রহমানের ‘জীবন ধারা’ ছবিতে অভিনয় করে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন রোজিনা। ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানে ‘হাম তো হায় জামানা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পাকিস্তানের ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন।

ভারতের জনপ্রিয় নায়ক মিঠুন চক্রবর্তী, পাকিস্তানের নাদিমের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন রোজিনা। অভিনয়ের জন্য ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের ১০টিরও বেশি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। অভিনয় করতে করতে একসময় অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অনুভব করেন, এবার নিজেকে সময় দেওয়া দরকার। ১৯৯২ সালে ঘোষণা দেন, চলচ্চিত্রে আর নয়। হাতে থাকা ছবিগুলোর কাজ শেষ করতে করতে ১৯৯৪ সাল পার হয়ে যায়। পরের বছর তিনি পাড়ি জমান যুক্তরাজ্যে। দীর্ঘ বিরতির পর রোজিনা চলচ্চিত্রে ফেরেন ‘রাক্ষুসী’ দিয়ে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

অনুদান পেল রোজিনার ‘ফিরে দেখা’সহ ১৬ চলচ্চিত্র

প্রকাশিত : ০৬:১২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

সরকারি অনুদান পেল রওশন আরা রোজিনার ‘ফিরে দেখা’ সহ ১৬ চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ দিতে প্রতি বছর অনুদান দেয় সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিতে ৭৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হবে। আগে এ অনুদানের পরিমাণ ছিল ৬০ লাখ টাকা।

শনিবার, ২৭ জুন তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাগুলোর তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে বলা হয়, ২০১৯-২০ বছরে অনুদানপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য ১৬টি চলচ্চিত্রের তালিকায় রয়েছে:

সাধারণ শাখায় প্রদীপ ঘোষের ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’, ইস্পাহানি আরিফ জাহানের ‘হৃদিতা’, ফজলুল কবীর তুহিনের ‘গাঙকুমারী’, মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, সন্তোষ কুমার বিশ্বাসের ‘ছায়াবৃক্ষ’, বদরুল আনাম সৌদের ‘শ্যামা কাব্য’ ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘আশীর্বাদ’।

এছাড়াও রয়েছে, ইফতেখার শুভর ‘লেখক’ ও মনজুরুল ইসলামের ‘বিলডাকিনী’। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় রয়েছে অনম বিশ্বাসের ‘ফুটবল ৭১’, পংকজ পালিতের ‘একটি না বলা গল্প’ ও এসএ হক অলিকের ‘যোদ্ধা’।

শিশুতোষ শাখায় রয়েছে আওয়াল রেজার ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ও নূরে আলম ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’।

একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবেই বেশি পরিচিত ও জনপ্রিয় রোজিনা। এখন আর অভিনয়ে নেই তিনি। টিভি নাটক পরিচালনায় অভিজ্ঞতা আছে তার। তার পরিচালিত নাটকগুলোর বেশিরভাগই ছিল সাহিত্যনির্ভর। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার ছবি নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন এ অভিনেত্রী। তার পরিচালিত প্রথম ছবিটিই পেল সরকারি অনুদান।

গ্রামীণ বা শহুরে নারীর চরিত্র কিংবা সামাজিক অ্যাকশন, সব ধরনের ছবিতেই তিনি সাবলীলভাবে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। রোজিনা অভিনীত কিছু উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘সাহেব’, ‘তাসের ঘর’, ‘হিসাব চাই’, ‘বন্ধু আমার’, ‘কসাই’, ‘জীবনধারা’, ‘মানসী’, ‘দোলনা’, ‘দিনকাল’, ‘রসের বাইদানী’, ‘জীবনধারা’, ‘রূপবান’, ‘হামসে হ্যায় জামানা’। তাঁর অভিনয় করা ছবি প্রায় দুই শতাধিক। আমজাদ হোসেনের ‘কসাই’ আর মতিন রহমানের ‘জীবন ধারা’ ছবিতে অভিনয় করে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন রোজিনা। ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানে ‘হাম তো হায় জামানা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পাকিস্তানের ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন।

ভারতের জনপ্রিয় নায়ক মিঠুন চক্রবর্তী, পাকিস্তানের নাদিমের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন রোজিনা। অভিনয়ের জন্য ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের ১০টিরও বেশি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। অভিনয় করতে করতে একসময় অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অনুভব করেন, এবার নিজেকে সময় দেওয়া দরকার। ১৯৯২ সালে ঘোষণা দেন, চলচ্চিত্রে আর নয়। হাতে থাকা ছবিগুলোর কাজ শেষ করতে করতে ১৯৯৪ সাল পার হয়ে যায়। পরের বছর তিনি পাড়ি জমান যুক্তরাজ্যে। দীর্ঘ বিরতির পর রোজিনা চলচ্চিত্রে ফেরেন ‘রাক্ষুসী’ দিয়ে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ