০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশিদের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছর ৬ মাস

বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ বছর ছয় মাস। গত এক বছরের তুলনায় তা বেড়েছে ৩ মাস। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ বছর ৩ মাস। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস-২০১৯’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রত্যাশিত গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি। পুরুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭১ দশমিক ১ বছর, নারীদের গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ২ বছর।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে পরিসংখ্যান ভবন অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বিবিএস’র উপ-মহাপরিচালক ঘোষ সুব্রত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক একেএম আশরাফুল হক।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৬৫ লাখ। মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্টাটিস্টিক অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ২ হাজার ১২টি নমুনা এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের হিসাবে প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৭২ দশমিক ৬ বছর, যা ২০১৮ সালে ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর। এছাড়া ২০১৭ সালে ৭২ বছর, ২০১৬ সালে ৭১ দশমিক ৬ বছর এবং ২০১৫ সালে ছিল ৭০ দশমিক ৯ বছর।

প্রত্যাশিত গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি। ২০১৯ সালে পুরুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু হচ্ছে ৭১ দশমিক ১ বছর। ২০১৮ সালে ছিল ৭০ দশমিক ৮ বছর। ২০১৭ সালে ৭০ দশমিক ৬ বছর, ২০১৬ সালে ৭০ দশমিক ৩ বছর এবং ২০১৫ সালে ছিল ৬৯ দশমিক ৪ বছর। অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২০১৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে প্রত্যাশিত গড় আয়ু হচ্ছে ৭৪ দশমিক ২ বছর, ৭৩ দশমিক ৮ বছর, ৭৩ দশমিক ৫ বছর, ৭২ দশমিক ৯ বছর এবং ৭২ বছর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ে পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স কিছুটা কমেছে। তবে বেড়েছে নারীদের। পুরুষদের বিয়ের গড় বয়স ২০১৫ সালে ছিল ২৫ দশমিক ৩ বছর। সেটি কমে ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক দুই বছরে। পক্ষান্তরে ২০১৫ সালে নারীদের বিয়ের বয়স ছিল ১৮ দশমিক চার বছর। সেটি কিছুটা বেড়ে ২০১৯ সালে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক পাঁচ বছরে।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচবছরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার বাড়েনি। নমুনা এলাকায় এই হার ৬৩ দশমিক চার শতাংশ। শহর এলাকায় মহিলারা ৬৪ দশমিক চার শতাংশ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার করে। অন্যদিকে গ্রামে ৬২ দশমিক সাত শতাংশ মহিলা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের হার বেড়েছে।

প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, এখন চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ সহজেই চিকিৎসা নিতে পারছেন। তাছাড়া খাদ্যগ্রহণ আগের চেয়ে বেড়েছে। পুষ্টি গ্রহণের ক্ষেত্রে তুলনামূলক অগ্রগতি হয়েছে। মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে গড় আয়ু বেড়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর

জনপ্রিয়

বাংলাদেশিদের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছর ৬ মাস

প্রকাশিত : ০৪:২৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ বছর ছয় মাস। গত এক বছরের তুলনায় তা বেড়েছে ৩ মাস। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ বছর ৩ মাস। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস-২০১৯’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রত্যাশিত গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি। পুরুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭১ দশমিক ১ বছর, নারীদের গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ২ বছর।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে পরিসংখ্যান ভবন অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বিবিএস’র উপ-মহাপরিচালক ঘোষ সুব্রত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক একেএম আশরাফুল হক।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৬৫ লাখ। মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্টাটিস্টিক অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ২ হাজার ১২টি নমুনা এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের হিসাবে প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৭২ দশমিক ৬ বছর, যা ২০১৮ সালে ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর। এছাড়া ২০১৭ সালে ৭২ বছর, ২০১৬ সালে ৭১ দশমিক ৬ বছর এবং ২০১৫ সালে ছিল ৭০ দশমিক ৯ বছর।

প্রত্যাশিত গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি। ২০১৯ সালে পুরুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু হচ্ছে ৭১ দশমিক ১ বছর। ২০১৮ সালে ছিল ৭০ দশমিক ৮ বছর। ২০১৭ সালে ৭০ দশমিক ৬ বছর, ২০১৬ সালে ৭০ দশমিক ৩ বছর এবং ২০১৫ সালে ছিল ৬৯ দশমিক ৪ বছর। অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২০১৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে প্রত্যাশিত গড় আয়ু হচ্ছে ৭৪ দশমিক ২ বছর, ৭৩ দশমিক ৮ বছর, ৭৩ দশমিক ৫ বছর, ৭২ দশমিক ৯ বছর এবং ৭২ বছর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ে পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স কিছুটা কমেছে। তবে বেড়েছে নারীদের। পুরুষদের বিয়ের গড় বয়স ২০১৫ সালে ছিল ২৫ দশমিক ৩ বছর। সেটি কমে ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক দুই বছরে। পক্ষান্তরে ২০১৫ সালে নারীদের বিয়ের বয়স ছিল ১৮ দশমিক চার বছর। সেটি কিছুটা বেড়ে ২০১৯ সালে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক পাঁচ বছরে।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচবছরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার বাড়েনি। নমুনা এলাকায় এই হার ৬৩ দশমিক চার শতাংশ। শহর এলাকায় মহিলারা ৬৪ দশমিক চার শতাংশ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার করে। অন্যদিকে গ্রামে ৬২ দশমিক সাত শতাংশ মহিলা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের হার বেড়েছে।

প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, এখন চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ সহজেই চিকিৎসা নিতে পারছেন। তাছাড়া খাদ্যগ্রহণ আগের চেয়ে বেড়েছে। পুষ্টি গ্রহণের ক্ষেত্রে তুলনামূলক অগ্রগতি হয়েছে। মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে গড় আয়ু বেড়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর