০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাবেক কূটনীতিকদের পরামর্শ নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সাবেক কূটনীতিকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনে

চলমান করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি মোকাবিলা, করোনা পরিস্থিতি শেষ হলে এবং সর্বোপরি সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোন কোন বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে— এসব বিষয়ে সাবেক কূটনীতিকদের নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভার্চুয়াল এক বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনে।

মন্ত্রণালয় থেকে শুক্রবার (৩ জুলাই) এক বার্তায় বলা হয়, বৈশ্বিক সমস্যা করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের জন্য করণীয় নির্ধারণে গত ২ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচকরা ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি ও করোনা পরবর্তী সময়ের জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করেন। বাংলাদেশের ওপর করোনা মহামারির সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন তারা।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসার পরও যেন বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে কোটামুক্ত সুবিধা পেতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন সাবেক কূটনীতিকরা। সম্প্রতি বাংলাদেশের কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়ার প্রশংসা করেন তারা। বাংলাদেশের সাথে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থার ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো এবং দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগকে স্বাগত জানান আলোচকরা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন।

এসময় সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন এম আর ওসমানী, ফারুক সোবহান, সি এম শফি সামি, শমসের মবিন চৌধুরী, এ কে এম আতিকুর রহমান, মো. শহিদুল হক, মো. আব্দুল হান্নান, হুমায়ুন কবির, আহমদ তারিক করিম ও মহসীন আলী খান।

পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাবেক এসব কূটনৈতিকদের সুপারিশ অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে থাকায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ সাবেক এ কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন। এ ধরনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

এর আগে, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা সভা আয়োজন করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

সাবেক কূটনীতিকদের পরামর্শ নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০২:২১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুলাই ২০২০

চলমান করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি মোকাবিলা, করোনা পরিস্থিতি শেষ হলে এবং সর্বোপরি সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোন কোন বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে— এসব বিষয়ে সাবেক কূটনীতিকদের নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভার্চুয়াল এক বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনে।

মন্ত্রণালয় থেকে শুক্রবার (৩ জুলাই) এক বার্তায় বলা হয়, বৈশ্বিক সমস্যা করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের জন্য করণীয় নির্ধারণে গত ২ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচকরা ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি ও করোনা পরবর্তী সময়ের জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করেন। বাংলাদেশের ওপর করোনা মহামারির সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন তারা।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসার পরও যেন বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে কোটামুক্ত সুবিধা পেতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন সাবেক কূটনীতিকরা। সম্প্রতি বাংলাদেশের কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়ার প্রশংসা করেন তারা। বাংলাদেশের সাথে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থার ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো এবং দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগকে স্বাগত জানান আলোচকরা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন।

এসময় সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন এম আর ওসমানী, ফারুক সোবহান, সি এম শফি সামি, শমসের মবিন চৌধুরী, এ কে এম আতিকুর রহমান, মো. শহিদুল হক, মো. আব্দুল হান্নান, হুমায়ুন কবির, আহমদ তারিক করিম ও মহসীন আলী খান।

পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাবেক এসব কূটনৈতিকদের সুপারিশ অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে থাকায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ সাবেক এ কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন। এ ধরনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

এর আগে, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা সভা আয়োজন করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর