০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

১২ জেলায় বন্যায় ১৫ লাখ মানুষের ক্ষতি

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৮:৩৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০
  • 9

এরমধ্যে শুধু জামালপুরের সাত উপজেলায় ৪৯টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা তিন লাখ ৭৭ হাজার ৩৪৯ জন।
টাঙ্গাইলে বানের পানিতে ভেসে গেল ১৩৪ কোটি টাকার কাজ

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের হিসাবে- গাইবান্ধা সদরসহ পাঁচ উপজেলায় ১ লাখ ২২ হাজার ৩২০, সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৫৩, সুনামগঞ্জের সব উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩২০, বগুড়ার ধুনট, সারিয়াকান্দি, সোনাতলায় ৭৬ হাজার ৬২০, সিলেট সদরসহ ছয় উপজেলায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭২০, টাঙ্গাইল সদরসহ ছয় উপজেলায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৯২৫, কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় প্রায় ৬২ হাজার, লালমনিরহাট সদরসহ চার উপজেলায় সাড়ে ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়াও মানিকগঞ্জে ১৪১৩ ও মাদারীপুরের শিবচরে ১৯৫০ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

বন্যা শুরুর সাত দিনের মাথায় দেশের ১২টি জেলায় পানি ঢুকে পড়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ঘরবাড়ি ও ফসল তলিয়ে যাওয়ায় ১৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়েছে সাড়ে তিন লাখ মানুষ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের হিসাবে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২ জেলার মধ্যে শুধু নীলফামারী ও সুনামগঞ্জে ত্রাণের মজুত আছে। বাকি জেলাগুলোতে সরকার থেকে পাঠানো ত্রাণ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হচ্ছে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হচ্ছে জামালপুর। এ জেলার ৩ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এরপরই রয়েছে গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া জেলা। সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নতুন মোড় নিতে পারে। উজানে ভারতের আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গসহ হিমালয়ের পাদদেশে মৌসুমি বায়ু বেশ সক্রিয় হয়ে উঠবে। এতে ওই সব এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়ে সেই পানি ভাটিতে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসতে পারে। ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, তাদের পূর্বাভাস ছিল, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বন্যার পানি নেমে যাবে। কিন্তু এখন মৌসুমি বায়ুর বিস্তৃতির ধরন দেখে মনে হচ্ছে, মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বন্যা অব্যাহত থাকতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের চারটি নদী অববাহিকায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যার পানি একযোগে বাড়তে পারে। কুড়িগ্রাম ও জামালপুর হয়ে পানি ব্রহ্মপুত্র দিয়ে দ্রুত বাড়বে। এতে উত্তরাঞ্চলসহ মানিকগঞ্জ পর্যন্ত পানি দ্রুত বাড়তে পারে। এক সপ্তাহের মধ্যে তিস্তার পানি বেড়ে লালমনিরহাট থেকে রংপুর পর্যন্ত বন্যার পানি বাড়তে পারে।

বন্যা কবলিত জেলাগুলো হচ্ছে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, সিলেট ও সুনামগঞ্জ। জানতে চাইলে দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ আবদুল লতিফ খান বলেন, অন্য বছরগুলোর তুলনায় এ বছরের বন্যা পরিস্থিতি বেশ ভিন্ন। এরই মধ্যে দেশের যেসব জেলায় বন্যা শুরু হয়েছে, সেখানে পানিবন্দী মানুষ গাদাগাদি করে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, প্রতিটি জেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষকে রাখা যায়, সেই ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে গঙ্গা ও পদ্মার পানি এরই মধ্যে মুন্সীগঞ্জে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর মধ্যে বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, বালু, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যার পানি বাড়লেও তা বিপদসীমা অতিক্রম করে আপাতত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

সিলেটের নদীগুলোতেও পানি এ মাসের মাঝামাঝি নাগাদ বাড়তে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগে হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরীর পানিও এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাড়তে পারে। সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে দুর্গত মানুষের জন্য নগদ অর্থের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ও বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে, এসব ত্রাণ খুব কম মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে।

টাঙ্গাইলে বানের পানিতে ভেসে গেল ১৩৪ কোটি টাকার কাজ: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর ঘোনাপাড়া পয়েন্টে ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত স্থায়ী প্রতিরক্ষার কাজটির তিনটি স্থান ধসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শনিবার সকালে বাঁধটি ভেঙে যায়। তবে পানি না কমলে এ কাজের সংস্কার সম্ভব না বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

বর্তমানে যমুনা ২৩ সেন্টিমিটার, ঝিনাই ২৯ সেন্টিমিটার আর ধলেশ্বরী ৮৭ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গত তিনমাস আগে দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন ইউনিয়নের বারপাখিয়া থেকে নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া পর্যন্ত ধলেশ্বরী নদীর ২.১৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে একটি স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ করা হয়। এটি মূলত ঘোনাপাড়াসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/এসএম

১২ জেলায় বন্যায় ১৫ লাখ মানুষের ক্ষতি

প্রকাশিত : ০৮:৩৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০

এরমধ্যে শুধু জামালপুরের সাত উপজেলায় ৪৯টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা তিন লাখ ৭৭ হাজার ৩৪৯ জন।
টাঙ্গাইলে বানের পানিতে ভেসে গেল ১৩৪ কোটি টাকার কাজ

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের হিসাবে- গাইবান্ধা সদরসহ পাঁচ উপজেলায় ১ লাখ ২২ হাজার ৩২০, সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৫৩, সুনামগঞ্জের সব উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩২০, বগুড়ার ধুনট, সারিয়াকান্দি, সোনাতলায় ৭৬ হাজার ৬২০, সিলেট সদরসহ ছয় উপজেলায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭২০, টাঙ্গাইল সদরসহ ছয় উপজেলায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৯২৫, কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় প্রায় ৬২ হাজার, লালমনিরহাট সদরসহ চার উপজেলায় সাড়ে ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়াও মানিকগঞ্জে ১৪১৩ ও মাদারীপুরের শিবচরে ১৯৫০ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

বন্যা শুরুর সাত দিনের মাথায় দেশের ১২টি জেলায় পানি ঢুকে পড়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ঘরবাড়ি ও ফসল তলিয়ে যাওয়ায় ১৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়েছে সাড়ে তিন লাখ মানুষ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের হিসাবে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২ জেলার মধ্যে শুধু নীলফামারী ও সুনামগঞ্জে ত্রাণের মজুত আছে। বাকি জেলাগুলোতে সরকার থেকে পাঠানো ত্রাণ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হচ্ছে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হচ্ছে জামালপুর। এ জেলার ৩ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এরপরই রয়েছে গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া জেলা। সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নতুন মোড় নিতে পারে। উজানে ভারতের আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গসহ হিমালয়ের পাদদেশে মৌসুমি বায়ু বেশ সক্রিয় হয়ে উঠবে। এতে ওই সব এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়ে সেই পানি ভাটিতে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসতে পারে। ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, তাদের পূর্বাভাস ছিল, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বন্যার পানি নেমে যাবে। কিন্তু এখন মৌসুমি বায়ুর বিস্তৃতির ধরন দেখে মনে হচ্ছে, মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বন্যা অব্যাহত থাকতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের চারটি নদী অববাহিকায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যার পানি একযোগে বাড়তে পারে। কুড়িগ্রাম ও জামালপুর হয়ে পানি ব্রহ্মপুত্র দিয়ে দ্রুত বাড়বে। এতে উত্তরাঞ্চলসহ মানিকগঞ্জ পর্যন্ত পানি দ্রুত বাড়তে পারে। এক সপ্তাহের মধ্যে তিস্তার পানি বেড়ে লালমনিরহাট থেকে রংপুর পর্যন্ত বন্যার পানি বাড়তে পারে।

বন্যা কবলিত জেলাগুলো হচ্ছে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, সিলেট ও সুনামগঞ্জ। জানতে চাইলে দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ আবদুল লতিফ খান বলেন, অন্য বছরগুলোর তুলনায় এ বছরের বন্যা পরিস্থিতি বেশ ভিন্ন। এরই মধ্যে দেশের যেসব জেলায় বন্যা শুরু হয়েছে, সেখানে পানিবন্দী মানুষ গাদাগাদি করে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, প্রতিটি জেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষকে রাখা যায়, সেই ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে গঙ্গা ও পদ্মার পানি এরই মধ্যে মুন্সীগঞ্জে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর মধ্যে বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, বালু, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যার পানি বাড়লেও তা বিপদসীমা অতিক্রম করে আপাতত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

সিলেটের নদীগুলোতেও পানি এ মাসের মাঝামাঝি নাগাদ বাড়তে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগে হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরীর পানিও এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাড়তে পারে। সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে দুর্গত মানুষের জন্য নগদ অর্থের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ও বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে, এসব ত্রাণ খুব কম মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে।

টাঙ্গাইলে বানের পানিতে ভেসে গেল ১৩৪ কোটি টাকার কাজ: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর ঘোনাপাড়া পয়েন্টে ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত স্থায়ী প্রতিরক্ষার কাজটির তিনটি স্থান ধসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শনিবার সকালে বাঁধটি ভেঙে যায়। তবে পানি না কমলে এ কাজের সংস্কার সম্ভব না বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

বর্তমানে যমুনা ২৩ সেন্টিমিটার, ঝিনাই ২৯ সেন্টিমিটার আর ধলেশ্বরী ৮৭ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গত তিনমাস আগে দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন ইউনিয়নের বারপাখিয়া থেকে নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া পর্যন্ত ধলেশ্বরী নদীর ২.১৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে একটি স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ করা হয়। এটি মূলত ঘোনাপাড়াসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/এসএম