লালমনিরহাট ছিল দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রামণ হারের দিক থেকে সবচেয়ে কম সংক্রমিত জেলা। শুধু জনসচেতনতার অভাবে দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা। গত ৪দিনে জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৪জন।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় গত ১১ এপ্রিল। ওইদিন ১জনের করোনা সনাক্ত হয়। ওই মাসের ১৯দিনের মাথায় আরও ২জনের সংক্রমণ সনাক্ত হয়। ফলে এপ্রিল মাস শেষে জেলায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩জনে। এরপর ২মাসে সংক্রমণের সংখ্যা দাড়ায় ৪৪জনে। তৃতীয় মাসে এর সংখ্যা গিয়ে পৌঁছায় ৬৯জনে। এরপর চতুর্থ মাসে রোববার (৫জুলাই) পর্যন্ত জেলার ৫ উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হয় ১শত ৬৬জন। এর মধ্যে শুধু গত ৪দিনেই আক্রান্ত হয়েছে ৪৪জন।
এছাড়া গত ৩ জুলাই একদিনেই সর্বাধিক ২৫জন করোনায় আক্রান্ত হয়। অনেকটা আকস্মিকভাবে দ্রুত করোনা সংক্রমণ বাড়ছে জেলার পাটগ্রাম উপজেলায়। এই উপজেলায় সংক্রমণের সংখ্যা ৫২জন। জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২জন। জেলার সচেতন মানুষ বলছেন, করোনা সংক্রামণরোধে লালমনিরহাটের মানুষকে সরকারি প্রচার প্রচারণা চালিয়েও সর্তক করা যাচ্ছে না।
দোকানে, শপিং মলে, হাট-বাজারে ও পাড়ার মোড়ের দোকানে অহেতুক মানুষের ভীড় করে থাকে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালতের গাড়ি দেখলে দ্রুত মানুষ সটকে পড়ে। আইন শৃংখলা বাহিনী চলে গেলে মানুষ আবারো ভির করে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় জানান, জেলায় এ পর্যন্ত করোনা সন্দেহে ১ হাজার ৯শত ৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ১ হাজার ৭শত ৫৬ জনের রিপোর্টের ফলাফলে রোববার (৫জুলাই) পর্যন্ত ১শত ৬৬ জনের শরীরে করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত ৫৭ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং দুইজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ




















