ঈদে ২০০ অসচ্ছল শিল্পীকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী উপহার দিতে যাচ্ছেন নায়ক অনন্ত জলিল। করোনা মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিনেমার শুটিংয়ের অনুমতি মিললেও অনেক নির্মাতা ও শিল্পী এখন শুটিং করতে নারাজ। ফলশ্রুতিতে বিনোদন জগতের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বিরূপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে। প্রথম দিকে অনেকেই তাদের পাশে দাঁড়ালেও, এখন তেমন কারো সারা মিলছে না।
তবে এ ব্যাপারে ব্যতিক্রম অনন্ত। তিনি অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রেখেছেন। আগামী শনিবার বিএফডিসিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করবেন অনন্ত জলিল। দেবেন নগদ অর্থও।
এ নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নায়ক জায়েদ খান তার ফেসবুকে লিখেন, ‘আমাদের সবার প্রিয় নায়ক, শিল্পী সমিতির সম্মানিত সদস্য অনন্ত জলিল ভাই। বনভোজনে গিয়ে, জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বর্ষা ভাবির জন্মদিনের কেক কাটতে গিয়ে আমরা শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে অনন্ত ভাইকে অনুরোধ করেছিলাম, সমিতির ফান্ডে কিছু অর্থ সহায়তা করার জন্য। তখন তিনি পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি সেই পাঁচ লাখ টাকা ১১ জুলাই শিল্পী সমিতিতে এসে প্রদান করবেন।
এ ছাড়া তাঁকে আমি অনুরোধ করেছিলাম, সামনে ঈদ, তিনি যেন এই সময়ে অসচ্ছল শিল্পীদের জন্য কিছু খাদ্যসামগ্রী উপহার দেন। তিনি আমার কথার প্রতি সম্মান রেখে বলেছেন, ১১ জুলাই তিনি ২০০ অসচ্ছল শিল্পীকে খাদ্যসামগ্রী উপহার দেবেন। তাঁর প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। তাঁর নতুন ছবির জন্য শুভ কামনা।’
চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, নায়ক ও ব্যবসায়ী এম এ জলিল অনন্ত, যিনি চলচ্চিত্রে অনন্ত জলিল নামে পরিচিত। ২০১০ সালে ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে যাত্রা শুরু করেন। গার্মেন্টস ব্যবসার পাশাপাশি চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করেন নিজের প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে।
এছাড়াও অনন্ত জলিল বিভিন্ন সময় সহযোগিতামূলক কার্যক্রম করে থাকেন। অনন্ত জলিল সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে তিনটি এতিমখানা নির্মাণ করেছেন। মিরপুর ১০ নম্বর, বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে আছে এতিমখানাগুলো। এ ছাড়া সাভারের হেমায়েতপুরের ধল্লা গ্রামে সাড়ে ২৮ বিঘার ওপর একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন অনন্ত জলিল। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরে অবস্থিত বায়তুস শাহ জামে মসজিদের নির্মাণকাজেও অবদান রাখেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ