০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

প্রাথমিকে প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবি

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা প্যানেলে নিয়োগ চান। দুটি নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫৬ হাজার ৯৩৬ প্রার্থী গত এক বছর ধরে প্যানেল শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবি করে আসছেন।

এই দাবিতে কয়েকজন সংসদ সদস্য নিয়োগের জন্য সুপারিশও করেছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আশা করছেন তারা।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮ তে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে থেকে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও ৫৫ হাজার ২৯৫ জন থেকে মাত্র ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। বাকিরা নিয়োগ বঞ্চিত হন। এছাড়া আগে থেকে নিয়োগবঞ্চিত আছেন ১৯ হাজার ৭৮৮ জন। প্রাথমিকে রিট জটিলতার কারণে ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বন্ধ ছিল। ৪ বছর পর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থীর চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে যায়।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ এর প্যানেল প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২১ এর আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার হার শতকরা ১০০ ভাগ উন্নীত করার কথা রয়েছে। কিন্তু প্রধান সমস্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্যানেল প্রবর্তণের মাধ্যমে যদি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু চূড়ান্তভাবে সুপারিশবঞ্চিত ৩৭ হাজার মেধাবীকে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে।

কমিটির সহ-সভাপতি বাবুল মুন্সী বলেন, ৬ বছরে একটি মাত্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থীর চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে গেছে। অনেকেরই এটি ছিল শেষ চাকরির পরীক্ষা। এছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিলো, শূন্যপদ পূরণের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু চূড়ান্ত নিয়োগে শূন্যপদ পূরণ না করেই পদায়ন কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয়। যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

নিয়োগবঞ্চিতরা জানান, ২০১০, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল গঠন করে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের নিয়োগ কার্যক্রমে প্যানেল গঠনের জন্য এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কার্যকরি প্রদক্ষেপ নেয়নি। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, এখন প্যানেল করার সুযোগ নেই। আমরা নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেব। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আগামী সেপ্টেম্বরে এ নিয়োগ শুরু হতে পারে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

প্রাথমিকে প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবি

প্রকাশিত : ০২:১৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা প্যানেলে নিয়োগ চান। দুটি নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫৬ হাজার ৯৩৬ প্রার্থী গত এক বছর ধরে প্যানেল শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবি করে আসছেন।

এই দাবিতে কয়েকজন সংসদ সদস্য নিয়োগের জন্য সুপারিশও করেছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আশা করছেন তারা।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮ তে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে থেকে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও ৫৫ হাজার ২৯৫ জন থেকে মাত্র ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। বাকিরা নিয়োগ বঞ্চিত হন। এছাড়া আগে থেকে নিয়োগবঞ্চিত আছেন ১৯ হাজার ৭৮৮ জন। প্রাথমিকে রিট জটিলতার কারণে ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বন্ধ ছিল। ৪ বছর পর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থীর চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে যায়।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ এর প্যানেল প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২১ এর আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার হার শতকরা ১০০ ভাগ উন্নীত করার কথা রয়েছে। কিন্তু প্রধান সমস্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্যানেল প্রবর্তণের মাধ্যমে যদি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু চূড়ান্তভাবে সুপারিশবঞ্চিত ৩৭ হাজার মেধাবীকে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে।

কমিটির সহ-সভাপতি বাবুল মুন্সী বলেন, ৬ বছরে একটি মাত্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থীর চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে গেছে। অনেকেরই এটি ছিল শেষ চাকরির পরীক্ষা। এছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিলো, শূন্যপদ পূরণের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু চূড়ান্ত নিয়োগে শূন্যপদ পূরণ না করেই পদায়ন কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয়। যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

নিয়োগবঞ্চিতরা জানান, ২০১০, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল গঠন করে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের নিয়োগ কার্যক্রমে প্যানেল গঠনের জন্য এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কার্যকরি প্রদক্ষেপ নেয়নি। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, এখন প্যানেল করার সুযোগ নেই। আমরা নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেব। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আগামী সেপ্টেম্বরে এ নিয়োগ শুরু হতে পারে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর