করোনার খোঁড়া অজুহাতে মাসের পর মাস সঞ্চয়পত্র বিক্রি বন্ধ রাখছে ঢাকা সদর প্রধান ডাকঘর। অথচ সঞ্চয় পত্রের মুনাফা তোলার ব্যবস্থা বহাল রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে সঞ্চয়পত্র কিনতে না পেরে লোকজন হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। মঙ্গলবার সেখানে ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
যাতায়াতের সুবিধা হওয়ায় পুরান ঢাকার স্থানীয় লোকজন সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য বাংলা বাজারস্থ ঢাকা সদর প্রধান ডাকঘরকেই পছন্দ করেন। এছাড়া যারা পূর্বে সেখান থেকে সঞ্চয়পত্র কিনেছেন, তাদেরও আস্থা ঢাকা সদর প্রধান ডাকঘর।
গত ২৬ মার্চ করোনায় সরকারি ছুটি ঘোষণার পর থেকেই এখানে সঞ্চয়পত্র লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সরকারি ছুটি শেষ হলে সবকিছু খুললেও, সঞ্চয়পত্র বিক্রির কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনার বন্ধের আগে পোস্ট অফিস অটোমেশন হয়। এতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি সহজ হয়ে যায়। সঞ্চয়পত্র বিক্রির যাবতীয় কাজ একজন কম্পিউটার অপারেটর ১০-১২ মিনিটেই সম্পন্ন করতে পারেন। এতে একজন কর্মচারী ও পোস্টমাস্টারের স্বাক্ষরে সঞ্চয়পত্র ইস্যু হতো।
করোনার কারণে হঠাৎ জনবল নাই, সংকট ইত্যাদি অজুহাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বন্ধ করে দেয় সেখানকার কর্তৃপক্ষ। এদিকে গোপনে সঞ্চয়পত্র বিক্রি চালু আছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ৫০০ টাকার মত বকশিস দিতে হয় গ্রাহক কে।
এ সম্পর্কে সেখানকার পোস্টমাস্টারকে প্রশ্ন করলে, তিনি বকশিস নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ঈদের পর সঞ্চয়পত্র বিক্রি চালু করা হবে। তখন যোগাযোগ করেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ