১১:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

রিমান্ডে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা ডা. সাবরিনার

স্বামীর সঙ্গে ডা. সাবরিনা। ছবি: সংগৃহীত

করোনা টেস্টের সনদ জালিয়াতিতে জড়িত ডা. সাবরিনা চৌধুরী স্বামীকে তালাক দেওয়ার যে কথা বলছিলেন তা সম্পূর্ণ সাজানো ছিলো।

একই সঙ্গে তিনি রিমান্ডের টেবিলে বসে জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।

শনিবার দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে। সেখানে তারা করোনা টেস্টের সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘ওভাল গ্রুপের কাছ থেকে নেওয়া ডা. সাবরিনার দুটি চেক পাওয়া গেছে। তার একটি চেক ৫ লাখ টাকার। আরিফ যখন বিপদে পড়ে তখন, সাবরিনা নিজেই ওই চেকটি প্রত্যাখ্যান করায়। ডা. সাবরিনা জেকেজি ও ওভাল গ্রুপ থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা করে বেতন নিতেন। তার প্রমাণও আমরা পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরিফকে তালাক দেওয়ার যেসব কথা ডা. সাবরিনা বলছেন সেটা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও তালাক নামাও সাজানো। আমরা মনস্তাত্ত্বিক কৌশল হিসেবে সাবরিনার সামনে আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের নানা কৌশল প্রয়োগ করি। তখন সাবরিনা আরিফকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তখন জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছিলেন, ‘আরিফ অসুস্থ। প্লিজ তাকে একটু রেস্টে থাকতে দেন। আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ওকে পরে।’

জিজ্ঞাসাবাদে সাবরিনা ও আরিফ জানান, তারা করোনা টেস্টের জন্য সরকারি থোক বরাদ্দের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অধিক নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া করোনা সনদ দেওয়া শুরু করেন। সরকারি বরাদ্দ হাতিয়ে নিতে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চার কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘ডা. সাবরিনা ডাক্তার হিসেবে তার ফেসভ্যালু এবং পরিচিতিকে পুঁজি করে প্রতারণা করেছেন। তিনি সরকারি সংস্থার কাজ করেন। তাই তদন্তে তার যেসব অনিয়মের তথ্য আমরা পাব, সেগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়কে জানাব।’

করোনা পরীক্ষার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে ২৩ জুন জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটির ৬ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।

পুলিশি তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে করোনা সনদ জালিয়াতিতে ডা. সাবরিনার নাম আসে। তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ও কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার।

১২ জুলাই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল থেকে ডা. সাবরিনাকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

সাবেক মার্কিন বিচারক ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

রিমান্ডে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা ডা. সাবরিনার

প্রকাশিত : ০৩:৩৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০

করোনা টেস্টের সনদ জালিয়াতিতে জড়িত ডা. সাবরিনা চৌধুরী স্বামীকে তালাক দেওয়ার যে কথা বলছিলেন তা সম্পূর্ণ সাজানো ছিলো।

একই সঙ্গে তিনি রিমান্ডের টেবিলে বসে জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।

শনিবার দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে। সেখানে তারা করোনা টেস্টের সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘ওভাল গ্রুপের কাছ থেকে নেওয়া ডা. সাবরিনার দুটি চেক পাওয়া গেছে। তার একটি চেক ৫ লাখ টাকার। আরিফ যখন বিপদে পড়ে তখন, সাবরিনা নিজেই ওই চেকটি প্রত্যাখ্যান করায়। ডা. সাবরিনা জেকেজি ও ওভাল গ্রুপ থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা করে বেতন নিতেন। তার প্রমাণও আমরা পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরিফকে তালাক দেওয়ার যেসব কথা ডা. সাবরিনা বলছেন সেটা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও তালাক নামাও সাজানো। আমরা মনস্তাত্ত্বিক কৌশল হিসেবে সাবরিনার সামনে আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের নানা কৌশল প্রয়োগ করি। তখন সাবরিনা আরিফকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তখন জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছিলেন, ‘আরিফ অসুস্থ। প্লিজ তাকে একটু রেস্টে থাকতে দেন। আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ওকে পরে।’

জিজ্ঞাসাবাদে সাবরিনা ও আরিফ জানান, তারা করোনা টেস্টের জন্য সরকারি থোক বরাদ্দের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অধিক নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া করোনা সনদ দেওয়া শুরু করেন। সরকারি বরাদ্দ হাতিয়ে নিতে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চার কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘ডা. সাবরিনা ডাক্তার হিসেবে তার ফেসভ্যালু এবং পরিচিতিকে পুঁজি করে প্রতারণা করেছেন। তিনি সরকারি সংস্থার কাজ করেন। তাই তদন্তে তার যেসব অনিয়মের তথ্য আমরা পাব, সেগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়কে জানাব।’

করোনা পরীক্ষার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে ২৩ জুন জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটির ৬ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।

পুলিশি তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে করোনা সনদ জালিয়াতিতে ডা. সাবরিনার নাম আসে। তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ও কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার।

১২ জুলাই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল থেকে ডা. সাবরিনাকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর